নতুন বছর শুরুর ঠিক আগে এক দুর্ঘটনায় আহত হলেন এক তরুণ ও তরুণী। গাড়ির ধাক্কায় রাস্তার উপরে ছিটকে পড়া, বাইকআরোহী তরুণের আঘাত কম হলেও অতি সঙ্কটজনক অবস্থায় ইএম বাইপাসে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ওই তরুণী। তাঁর চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবার।
কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রাতে বর্ষবরণের মিনিট দশেক আগে ওই দুর্ঘটনা ঘটে কসবার একটি শপিং মলের কাছে। রাস্তার এক দিকের গলি থেকে বেপরোয়া গতিতে বেরিয়ে আসছিল বাইকটি। তখনই একটি গাড়ির সঙ্গে সেটির সংঘর্ষ হয়। গাড়ির ধাক্কায় বোসপুকুরের বাসিন্দা সন্দীপ সাউ ও মুকুন্দপুরের বাসিন্দা বন্দনা দাস রাস্তায় ছিটকে পড়েন। গাড়িটি গিয়ে ধাক্কা মারে রাস্তার পাশের একটি ট্র্যাফিক সিগন্যালের স্তম্ভে। সেই ধাক্কায় স্তম্ভটি মাটি থেকে উপড়ে যায়। সেটিতে ধাক্কা মারার পরে গাড়িটি পাশেই একটি গাছে ধাক্কা মেরে থেমে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, গাড়িটি সিগন্যাল মেনেই যাচ্ছিল। বাইকটি আচমকাই তীব্র বেগে পাশের একটি রাস্তা থেকে বেরিয়ে আসে। গাড়িটি বাইকটিকে কাটিয়ে বেরোতে চেয়েও পারেনি। পুলিশ জানিয়েছে, কে সিগন্যাল ভেঙেছিল, তা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বোঝা যাবে। তবে গাড়ির চালক বা যাত্রীরা ঠিক আছেন বলেই পুলিশ সূত্রের খবর।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাইকআরোহীদের পরিবার জানিয়েছে, সন্দীপ ও বন্দনা অনেক দিনের বন্ধু। বর্ষবরণের রাতে তাঁরা স্থানীয় একটি শপিং মল থেকে বেরিয়ে বাড়ির দিকে ফিরছিলেন। পুলিশ দু’জনকে উদ্ধার করে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাতে সেখান থেকে সন্দীপকে ছেড়ে দেওয়া হলেও সঙ্কটজনক অবস্থায়আইসিসিইউ-তে ভর্তি রাখা হয়েছে বন্দনাকে। তাঁর আঘাত গুরুতর বলেই হাসপাতালের তরফে পরিবারকে জানানো হয়েছে।
বন্দনার বোন চন্দনা জানান, তাঁরা নিম্নবিত্ত। ওই হাসপাতালে চিকিৎসার বিপুল খরচ জোগানোর ক্ষমতা তাঁদের নেই। কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তা-ও তাঁরা ঠিক মতো জানেন না। অন্য দিকে সন্দীপের দাদা দীপু জানান, তাঁর ভাই অ্যাপ-ক্যাব চালান। সন্দীপ তাঁদের জানিয়েছেন, তিনি সিগন্যাল খোলা দেখে বাইক নিয়ে বেরোতে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেই মুহূর্তেই সিগন্যাল বন্ধ হয়ে যায়। তিনি বাইক থামাতে না পেরে গতি বাড়িয়ে বেরোনোর চেষ্টা করায় গাড়িটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, উপড়ে পড়ে রয়েছে সিগন্যালের স্তম্ভ। গাছের গুঁড়ি ফেটে গিয়েছে। থানার সামনে রাখা হয়েছে ভাঙাচোরা বাইক ও গাড়িটি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)