বাতিস্তম্ভের গায়ে খোলা এমনই বৈদ্যুতিক তারের বাক্স ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। নিজস্ব চিত্র
ঝড়ের সময়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বড় কোনও দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য চলছে প্রস্তুতি। সে বিষয়ে আলোচনা করতে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেছিলেন সিইএসসি-র শীর্ষ কর্তারা। ফণী ঝড়ে তার ছিঁড়ে বা অন্য কোনও ভাবে তড়িদাহত হয়ে যাতে কোনও মৃত্যু না ঘটে, পুরসভার পক্ষ থেকে সে দিকে কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে। সিইএসসি-র কর্তারা জানান, তা ঠেকাতে বিশেষ ব্যবস্থা হচ্ছে।
সিইএসসি সূত্রের খবর, ঝড়ের সময়ে কর্মীদের একে অপরের সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে। আজ, শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত সংস্থার সব ইঞ্জিনিয়ারের ছুটি বাতিল হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় দিন-রাত কর্তব্যরত থাকবেন বিদ্যুৎকর্মী ও ইঞ্জিনিয়ারেরা। এ ছাড়াও, সব সাবস্টেশন ও পাম্পিং স্টেশনে অতিরিক্ত কর্মীরা থাকছেন। যাতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলার কাজে ক্ষতি না হয়। পরিস্থিতি বুঝে সিইএসসি-র ২০০টি মোবাইল ভ্যানও শহর ও শহরতলিতে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।
বৃষ্টির সময়ে কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় জল জমে। তখন রাস্তার ধারের পিলার বাক্স বা বাতিস্তম্ভের তারে তড়িদাহত হওয়ার বিপদ বাড়ে। ফণীর মতো ঝড়ের সময়ে এ সংক্রান্ত বিপদ আরও বাড়বে কি না, তা নিয়ে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সিইএসসি-র এক কর্তা দাবি করেছেন, জল জমার আশঙ্কা যে সব এলাকায় বেশি, সেখানে তাঁদের সব পিলার বাক্স আগেই উঁচু করে দেওয়া হয়েছে। বাতিস্তম্ভগুলি যাতে খোলা না থাকে, তার জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর পরেও অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়ে জল বেশি জমে গেলে, তার ছেঁড়া বা গাছ পড়ার খবর এলে এলাকায় দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ফের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে বলে সিইএসসি সূত্রের খবর। সংস্থার তরফে এক জন করে কর্তা থাকবেন কলকাতা পুরসভা ও পুলিশের কন্ট্রোল রুমেও। পুরসভার প্রতিটি বরো অফিসের সঙ্গেও বিদ্যুৎকর্তাদের যোগাযোগ থাকবে।
অনেক জায়গায় অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সিইএসসি সূত্রে খবর, কিছু জায়গায় মাটির নীচের তার থেকে বিদ্যুৎ চুরি হয়। খবর পেলে সে সব লাইন কেটে আইনি ব্যবস্থা নেয় সংস্থা। ঝড়ের সময়ে তেমন কোনও খবর পেলে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানায় সিইএসসি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy