Advertisement
১৮ মে ২০২৪
Dengue

ভারী বৃষ্টির আগেই ডেঙ্গি আক্রান্ত বাড়ছে দক্ষিণ দমদমে 

গত বছর দক্ষিণ দমদমে পাঁচ শতাধিক বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছিল একাধিক। সেই কথা মনে করিয়ে পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা।

An image of Dengue

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৩ ০৮:২৩
Share: Save:

বর্ষায় এখনও সে ভাবে বৃৃষ্টি হয়নি। তবে থেমে নেই মশাবাহিত রোগের আক্রমণ। ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে দক্ষিণ দমদমে। একই ভাবে জ্বরে আক্রান্তের খবরও আসছে নিয়মিত। যদিও পুরসভার দাবি, মশা নিয়ন্ত্রণ এবং মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে জোরকদমে কাজ চলছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বছরের শুরু থেকেই লাগাতার কাজ চলছে বলে দাবি করেছে পুরসভা। কিন্তু তার পরেও কী ভাবে মশাবাহিত রোগের বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে? তাঁদের আরও প্রশ্ন, প্রতি বছরই বা কেন এমন ঘটনা ঘটছে?

পুরসভা সূত্রের খবর, এর আগে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় জ্বর এবং ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছিল। কিন্তু বর্তমানে একাধিক ওয়ার্ড থেকে সেই খবর আসছে। এর মধ্যে লেক টাউন এলাকায় সংক্রমণ বেশি। সেখানে ইতিমধ্যেই ডেঙ্গিতে ৩৮ জন এবং জ্বরে প্রায় ১৫০ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত সেখানে ৫০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন।

গত বছর দক্ষিণ দমদমে পাঁচ শতাধিক বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছিল একাধিক। সেই কথা মনে করিয়ে পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। পাতিপুকুর, কালিন্দী, লেক টাউন থেকে মাঠকল এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, মশাবাহিত রোগ ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে প্রতিরোধমূলক কাজে বিশেষ জোর দেওয়া প্রয়োজন। এলাকাবাসীকেও এই কাজে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু অভিযোগ, এখনও মশা নিয়ন্ত্রণের গতানুগতিক কাজ ছাড়া তেমন তৎপরতা চোখে পড়ছে না। এর পরে লাগাতার ভারী বৃষ্টি হলে অবস্থার আরও অবনতি হবে বলে তাঁদের আশঙ্কা।

যদিও বাসিন্দাদের অভিযোগ মানতে চাননি পুর কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানান, বছরের শুরু থেকেই মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ হয়েছে। পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের পরামর্শ ও নির্দেশিকা মেনে কাজ চলছে। সচেতনতার প্রসারে প্রতিটি ওয়ার্ডে মিছিল থেকে শুরু করে দেওয়াল লিখন-সহ নানা কর্মসূচি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ফিভার ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। নির্মীয়মাণ বাড়িগুলিতে নজরদারি থেকে শুরু করে একাধিক জায়গায় চলছে অভিযান। তবে কাজের ক্ষেত্রে গাফিলতি থাকলে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE