বৃষ্টিস্নাত: কালীপুজোর আগে টানা বৃষ্টিতে ফাঁকা রাস্তাঘাট। শুক্রবার, বিধান সরণিতে। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী
এলাকা জুড়ে লাগানো মাইকের সমস্ত চোঙা প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। মঞ্চের উপরে বসানো কয়েক জোড়া সাউন্ড বক্সও প্লাস্টিকে মোড়া। তবু উদ্বোধনের আসরে ঠিক সময়ে সেগুলি ব্যবহার করা যাবে কি না, শুক্রবার সারা দিন তা নিয়েই চিন্তায় রইলেন শহরের কালীপুজোর উদ্যোক্তাদের একটি বড় অংশ। দিনের শেষে বৃষ্টির জেরে তাঁদেরই কাউকে হয় পুজোর উদ্বোধন বাতিল করতে হল, নয়তো পিছিয়ে দিতে হল। আজ, শনিবার পুজোর এক দিন আগেও একই রকম অবস্থা হলে কী হবে, সেই চিন্তা যাচ্ছে না পুজো উদ্যোক্তাদের।
আমহার্স্ট স্ট্রিট বালক সঙ্ঘের পুজোর উদ্যোক্তা জগন্নাথ রায় বললেন, ‘‘মাইকে প্লাস্টিক জড়িয়ে, মঞ্চের উপরে অস্থায়ী ছাউনি তৈরি করে কোনও ভাবে উদ্বোধন সেরে ফেলার কথা ভাবা হয়েছিল। তবে বৃষ্টিতে কিছুই কিছু করা গেল না। যে অতিথিদের আসার কথা ছিল, তাঁরাও আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন।’’ প্রায় একই অবস্থা খিদিরপুর সম্মিলিত সঙ্ঘের। এ দিনের পুজো উদ্বোধন পিছিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। নলিন সরকার স্ট্রিট শ্রীশ্রী সর্বজনীন কালীপুজো কমিটির হিমাংশু ঘোষ জানান, তাঁরাও প্রথমে উদ্বোধন পিছিয়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। শেষে কোনও মতে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা এলাকার নেতা অতীন ঘোষকে দিয়ে উদ্বোধন করিয়েছেন। হাতিবাগান সর্বজনীন কালীপুজোর আবার বৃহস্পতিবার রাতে যাত্রার আসর বাতিল হয়েছে বৃষ্টির জেরে।
এর মধ্যেও অবশ্য গিরিশ পার্ক ফাইভ স্টারের পুজোর উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাথায় ছাতা ধরে সেখানে হাজির হয়েছিলেন পুজোকর্তা থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। কোনও মতে অস্থায়ী ছাউনি করে উদ্বোধন সারতে হয়েছে আহিরীটোলা সর্বজনীন শ্রীশ্রী কালীপুজো কমিটিকেও। সেখানকার পুজো উদ্যোক্তা শুভজিৎ রায় বলছিলেন, ‘‘বেশি বৃষ্টি হলে মণ্ডপের ভিতরেই উদ্বোধনের কাজ সেরে নিতে হবে ভেবেছিলাম। কলকাতার আশপাশের জেলা থেকেও পুজো উদ্বোধন পণ্ড হওয়ার একই রকম খবর আসছে।’’
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস বললেন, ‘‘আজ, শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার কালীপুজোর দিনেও আকাশ মেঘলা থাকবে। তবে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy