রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য দক্ষিণেশ্বর স্টেশনে দীর্ঘ ক্ষণ বন্ধ রইল মেট্রো পরিষেবা। ফলে ব্লু (নীল) লাইনে বরাহনগর থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশন পর্যন্ত পরিষেবা চালু ছিল। সকাল ১০টা নাগাদ অবশ্য গোটা পথেই পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ ছিল, নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে মেট্রো পাওয়া যাচ্ছে। ফলে স্টেশনগুলিতে ক্রমশ ভিড় বাড়ছে। অত্যধিক ভিড়ের কারণে অনেক যাত্রীই মেট্রোয় উঠতে পারছেন না। ব্যস্ত সময়ে এই ঘটনায় ভোগান্তির শিকার হতে হয় যাত্রীদের।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল, দক্ষিণেশ্বর স্টেশনের কাছে সিগন্যালিং ব্যবস্থায় রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে। তবে এই কাজ পূর্বনির্ধারিত ছিল না বলে জানানো হয়। দ্রুত কাজ শেষ করে পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও জানান মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণেশ্বর ব্লু লাইনে মেট্রোর প্রান্তিক স্টেশন। সড়ক বা ট্রেনপথে এসে অনেকেই দক্ষিণেশ্বর থেকে মেট্রোয় ওঠেন। কিন্তু সেই স্টেশন থেকেই মেট্রো পরিষেবা না-মেলায় দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয় যাত্রীদের। তাঁদের অনেকেই বাধ্য হয়ে বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে বা কর্মস্থলে পৌঁছোনোর চেষ্টা করেন। অন্য স্টেশনগুলিতেও দেরিতে মেট্রো আসায় স্টেশনে অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। তার পর মেট্রো এলেও অত্যধিক ভিড়ের কারণে কয়েকটি মেট্রো ছেড়ে দিতে বাধ্য হন যাত্রীরা।
গত মাসখানেক ধরে কলকাতা মেট্রোয় একের পর এক বিভ্রাট দেখতে দেখতে যেন অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন নিত্যযাত্রীরা। ব্লু লাইনের প্রান্তিক স্টেশন কবি সুভাষে মেট্রোর পিলারে ফাটল দেখা দেওয়ায় সম্প্রতি ওই স্টেশনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রান্তিক স্টেশন হয়ে যায় শহিদ ক্ষুদিরাম। তার পর থেকে ক্রমেই ভোগান্তি বেড়েছে যাত্রীদের। এর আগে গত ৩১ অক্টোবর দিনের শুরুতেই কলকাতা মেট্রোর ব্লু লাইনের (শহিদ ক্ষুদিরাম থেকে দক্ষিণেশ্বর) পরিষেবা ব্যাহত হয়। সাময়িক ভাবে ভাঙাপথে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ। প্রায় এক ঘণ্টা ভাঙাপথে পরিষেবা চলে। স্টেশনে স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে একের পর এক ট্রেন। ঘোষণা করা হয়, অনিবার্য কারণের জন্য দক্ষিণেশ্বর থেকে শোভাবাজার পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা বন্ধ। আপ এবং ডাউন— দুই লাইনেই মিলবে না পরিষেবা। যাত্রীদের মেট্রোর কামরা খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে মেট্রোরেল সূত্রে জানানো হয়, দমদম স্টেশনের আগে সিগন্যালে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করেন ইঞ্জিনিয়ারেরা।