সৌন্দর্যায়ন: শালবল্লা দিয়ে বাঁধানো হয়েছে পুকুর পাড়। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য
পাড়ার পুকুরগুলির প্রত্যেকটিরই বয়স পঞ্চাশ পেরিয়েছে। কোনওটির পাড় ভেঙে গিয়েছে। কোনওটির জল ব্যবহারের অযোগ্য। কোথাও আবার পুকুর এবং তার আশপাশের জায়গাও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সাতগাছির কাছে বাপুজি কলোনির বাসিন্দাদের দাবি মেনে এ বার সেই পুকুরগুলির সংস্কার শুরু করেছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা।
স্থানীয় দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কেয়া দাস জানান, বিজ্ঞানসম্মত ভাবে শালবল্লা দিয়ে পুকুরের ভাঙন ঠেকানোর কাজ হচ্ছে। এই বাঁধানোর কাজ শেষ হলে শুরু করা হবে পুকুর পাড়ের সৌন্দর্যায়ন।
ওই ওয়ার্ডে ন’টি পুকুর রয়েছে। প্রতিটি পুকুরের আয়তন বেশ বড়। কাউন্সিলরের দাবি, প্রতিটিই প্রায় দেড়-দু’বিঘা করে। ন’টি পুকুরের মধ্যে আপাতত দুই এবং তিন নম্বর প্লটের পুকুরের কাজ চলছে। এর পরে এক নম্বর প্লটের পুকুরটির সংস্কার শুরু হবে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এমন অনেক পরিবার রয়েছে যাঁদের তিনটি প্রজন্মই পুকুরটিকে দেখছেন।
দক্ষিণ দমদম পুরসভা সূত্রে খবর, ভাঙন রোধের পাশাপাশি পুকুর পাড়ের সৌন্দর্যায়নেও নজর দেওয়া হবে। কাউন্সিলর কেয়া দাস জানান, জায়গার অভাবে এখন পা়ড়ার আড্ডাটা কমে গিয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, এলাকার প্রবীণ এবং অবসরপ্রাপ্ত বাসিন্দারা সকাল-সন্ধ্যা হাঁটা ও গল্পগুজব করার মতো সুন্দর পার্ক তৈরির আবেদন করছিলেন বহু বার। তাঁদের আবেদনে সাড়া দিয়েই এই উদ্যোগ বলে জানাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।
প্রতিটি পুকুরের পাশে ছোট ছোট পার্কের মতো করে সাজিয়ে তোলা হবে। সেখানে বসার জায়গাও থাকবে। শিশুদের জন্য দোলনা, স্লিপ-সহ বিভিন্ন খেলার ব্যবস্থা থাকবে। যাতে ছোট, বড় সকলের বিনোদনের জায়গা হয়ে উঠতে পারে পুকুর পাড়গুলি। প্রতিটি পুকুর পাড়ে আলাদা করে আলো লাগানো হবে। সন্ধ্যার পরেও বাসিন্দারা যাতে সেখানে যেতে পারেন। কাজের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা করে ম়ঞ্জুর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy