সল্টলেকে ঝাড়খণ্ডের ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি ইডির। — নিজস্ব চিত্র।
শহরে আবারও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র তল্লাশি অভিযান। এ বার সল্টলেকে ঝাড়খণ্ডের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি শুরু করল ইডি। সূত্রের খবর, পাচার সংক্রান্ত বিশেষ কিছু নথির জন্যই শুক্রবার সকাল থেকে চলছে তল্লাশি। পাশাপাশি নোনাপুকুর ট্রাম ডিপোর উল্টোদিকে একটি সংস্থার দফতরেও চলছে তল্লাশি। তল্লাশি চলে গড়িয়াহাট রোডের একটি ফ্ল্যাটেও।
শুক্রবার সকালে ইডির চারটি দল কলকাতা ও সল্টলেকের বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি শুরু করে। এর মধ্যে সল্টলেকের এইচবি ব্লকে ব্যবসায়ী অমিত আগরওয়ালের বাড়িতেও তল্লাশি শুরু করেছে তারা। জানা গিয়েছে, গত এক বছরে তিন বার অমিতের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি।
ইডির একটি সূত্র বলছে, কয়লা পাচার এবং অবৈধ খনন সংক্রান্ত কিছু নথি তাঁর বাড়িতে থাকতে পারে। সে কারণেই তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি।
শুক্রবার সকালে নোনাপুকুরের একটি দফতরেও ইডি তল্লাশি চালাচ্ছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ছ’মাস আগে ওই ফ্ল্যাটে দফতর নিয়েছে সংস্থা। অন্যদিকে, গড়িয়াহাট রোডের একটি ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা। ফ্ল্যাটটি সঞ্জয় ঘোষ নামে এক ব্যবসায়ীর। সেটি বন্ধ থাকায় বেশ কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করেন ইডি আধিকারিকরা। তার পর সিল করে দেওয়া হয় ফ্লাটটি।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে শহরের বার বার তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ইডি। গত সেপ্টেম্বরেই অনলাইন গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণা-কাণ্ডে গার্ডেনরিচে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। সেখানে খাটের তলা থেকে নগদ ১৭ লক্ষ টাকা মেলে। পরে গাজিয়াবাদ থেকে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আমির খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে জেরা করে পরে আরও কয়েক জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। গ্রেফতার হন রুমেন আগরওয়াল নামে আরও এক ব্যবসায়ী। তারও আগে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল অর্থ উদ্ধার করে ইডি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy