Advertisement
E-Paper

হট মিক্স প্লান্ট বদলাতে হবে চার মাসে: আদালত

হট মিক্স প্লান্ট নিয়ে কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষকে মঙ্গলবার কড়া নির্দেশ শোনাল পরিবেশ আদালত। যার প্রেক্ষিতে দু’সপ্তাহের মধ্যে কলকাতা পুরসভা ও পূর্ত দফতরকে দু’কোটি টাকার ‘পারফর্ম্যান্স গ্যারান্টি’ রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদে জমা করতে হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:৩৯
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

হট মিক্স প্লান্ট নিয়ে কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষকে মঙ্গলবার কড়া নির্দেশ শোনাল পরিবেশ আদালত। যার প্রেক্ষিতে দু’সপ্তাহের মধ্যে কলকাতা পুরসভা ও পূর্ত দফতরকে দু’কোটি টাকার ‘পারফর্ম্যান্স গ্যারান্টি’ রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদে জমা করতে হবে।

হট মিক্স প্লান্টকে পরিবেশবান্ধব করতে সময় লাগবে, বারবার তেমনটাই দাবি করছিল কলকাতা পুরসভা। সেই মতোই এ দিন পুর কর্তৃপক্ষের তরফে হট মিক্স প্লান্টকে পরিবেশবান্ধব করতে ছ’মাস সময় চাওয়া হয়। পরিবেশ আদালত জানিয়ে দিল, ছ’মাস নয়, আগামী চার মাসের মধ্যে পুরসভার সব হট মিক্স ব্যবস্থাকে কোল্ড মিক্সে পরিবর্তন করতে হবে। শুধু তাই নয়, দু’সপ্তাহের মধ্যে কলকাতা পুরসভা ও পূর্ত দফতরকে দু’কোটি টাকার ‘পারফর্ম্যান্স গ্যারান্টি’ রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে জমা রাখতে হবে। বারবার বলা সত্ত্বেও কেন হট মিক্স প্লান্টকে পরিবেশবান্ধব করতে উদ্যোগী হননি পুর কর্তৃপক্ষ, কাদের ‘স্বার্থে’ এই টালবাহানা তা নিয়েও এ দিন আদালতে প্রশ্ন উঠেছে।

আগেই পরিবেশ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, হট মিক্স প্লান্ট থেকে দূষণ ছড়ানোর কারণে তা বন্ধ করতে হবে। এমনকি, দিল্লির থেকেও কলকাতার বায়ু যে তুলনামূলক ভাবে বেশি দূষিত, সে প্রসঙ্গও এ দিন পরিবেশ আদালতের তরফে উল্লেখ করা হয়। এর পরেই আদালত জানায়, ছ’মাস সময় দেওয়া যাবে না। চার মাসেই পুরো ব্যবস্থা বদলাতে হবে। এ দিন আদালতে কলকাতা পুরসভার বিপরীতে সওয়াল করেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। তিনি বলেন, ‘‘আমারই করা এক মামলায় পরিবেশ আদালত গত বছরের ২৯ নভেম্বর পুরসভাকে সময় দিয়ে বলেছিল, রাতারাতি এই ব্যবস্থা পরিবর্তন করা যাবে না। সময় নিয়ে কী ভাবে পুরো ব্যবস্থা বদলানো সম্ভব, তার পরিকল্পনা করুক পুরসভা। কিন্তু তার পরও কিছু হয়নি! আর কত সময় চাই?’’

পরিবেশ আদালতের তরফে বলা হয়, অন্য রাজ্য যেখানে হট মিক্স প্লান্ট বন্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করছে, সেখানে কলকাতা পুরসভা কেন করছে না! এই গড়িমসির পিছনে ঠিকাদারি সংস্থার সঙ্গে প্রশাসনের একাংশের যোগ রয়েছে কি না, সে প্রশ্নও ওঠে। প্রশাসনের তরফে সময় চাওয়ার সপক্ষে গঙ্গাসাগরের আয়োজন-সহ অনেক কথা বলা হয়। কিন্তু কিছুই শোনেনি আদালত। এ দিন আদালত উল্লেখযোগ্য ভাবে দু’কোটি টাকার ‘পারফর্ম্যান্স গ্যারান্টি’ জমা রাখতে বলেছে। সুভাষবাবু বলেন, ‘‘চার মাসের মধ্যে যদি প্রশাসন হট মিক্স প্লান্টকে পরিবেশবান্ধব করে দেখাতে না পারে, তা হলে পুরো টাকা বাজেয়াপ্ত হতে পারে। পাশাপাশি এ দিন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ভূমিকারও সমালোচনা করেছে আদালত।’’

পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ২৩ এপ্রিল। ওই সময়ের মধ্যে পুরসভাকে হলফনামা জমা দিয়ে জানাতে হবে তারা পুরো ব্যবস্থা বদলে কী কী পদক্ষেপ করেছে।

Environment Court Factory
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy