Advertisement
E-Paper

সরোবরে এত কমিটি কেন? প্রশ্ন পরিবেশবিদদের 

পরিবেশবিদেরা জানাচ্ছেন, রবীন্দ্র সরোবরের অবস্থা দেখার জন্য আগেই কলকাতা হাইকোর্ট একটি কমিটি তৈরি করেছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৯ ০১:১১
রবীন্দ্র সরোবরের কমিটি ঘিরেই উঠছে প্রশ্ন। ফাইল চিত্র

রবীন্দ্র সরোবরের কমিটি ঘিরেই উঠছে প্রশ্ন। ফাইল চিত্র

রবীন্দ্র সরোবরে দূষণ হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য একাধিক কমিটি তৈরি হয়েছে। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও দূষণ বন্ধে ঠিক মতো নজর নেই কর্তৃপক্ষের। সুতরাং এত কমিটির প্রয়োজন কতটা, তার যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশবিদদের বড় অংশ। তাঁদের বক্তব্য, এতে ‘অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট’ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। একটি কমিটিই রাখা দরকার বলে মনে করছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে আজ, সোমবার জাতীয় পরিবেশ আদালতে রবীন্দ্র সরোবরের মামলা রয়েছে। এ দিন কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (কেএমডিএ) তরফে আদালতে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথাও রয়েছে।

পরিবেশবিদেরা জানাচ্ছেন, রবীন্দ্র সরোবরের অবস্থা দেখার জন্য আগেই কলকাতা হাইকোর্ট একটি কমিটি তৈরি করেছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে সরোবর সংক্রান্ত মামলাটি জাতীয় পরিবেশ আদালতে চলে যায়। পরিবেশ আদালতের তরফে আবার দু’টি কমিটি তৈরি করা হয়। কেএমডিএ-র আইনজীবী পৌষালী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সম্প্রতি একটি কমিটি তৈরি হয়েছে। যার সদস্য হলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, কেএমডিএ-র সিইও এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার।’’ সরোবর নিয়ে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। তাঁর বক্তব্য, কলকাতা হাইকোর্ট যে কমিটি তৈরি করেছিল, তার এখন কোনও

অস্তিত্বই নেই। কারণ, হাইকোর্ট থেকে মামলাটি পরবর্তীকালে পরিবেশ আদালতে চলে গিয়েছে। এত কমিটি তৈরি হওয়ার পরেও রবীন্দ্র সরোবরের দূষণ নিয়ে যে সমস্ত দিকে নজর দেওয়ার দরকার ছিল, তা হচ্ছে না বলে দাবি তাঁর। সুভাষবাবুর কথায়, ‘‘রবীন্দ্র সরোবরের সামগ্রিক উন্নয়নের পরিবর্তে যাবতীয় আলোচনা শুধুমাত্র ছটপুজোয় আটকে রয়েছে। অথচ সরোবরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা সারা বছরের বিষয়। কোনও নির্দিষ্ট দু’-তিন দিনের কাজ নয় এটি। এত কমিটি তৈরির পরেও সেটি হচ্ছে কোথায়?’’ ফলে কমিটির সংখ্যাধিক্য নিয়ে দোলাচল চলছেই।

এই পরিস্থিতিতে রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজোর বিষয়টি আজ আবার ওঠার কথা। সরোবরে ছটপুজো বন্ধ নিয়ে মামলা করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়ে সুমিতাদেবী জানান, দূষণ রোধে এবং সরোবরে ছটপুজো বন্ধে কেএমডিএ কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা এ দিন সংস্থার তরফে আদালতকে জানাতে হবে। কিন্তু পরিবেশ আদালতের নির্দেশের পরেও যে ভাবে ক্রমাগত সরোবর এলাকা দূষিত হয়ে চলেছে, তা নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। সুমিতাদেবীর কথায়, ‘‘এখনও সরোবরের ভিতরে অনেকে বসবাস করছেন। তাঁরা অধিকাংশই হিন্দিভাষী। এ বারেও তাঁরা ওখানে ছটপুজো করবেন বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন। তেমনটা হলে কেএমডিএ-কে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে!’’

Rabindra Sarobar Pollution
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy