ফাইল চিত্র।
পার্ক স্ট্রিটের নামী হোটেলে নাচগানের আসর বসেছিল কর্তৃপক্ষের মদতেই। বুধবার ওই হোটেলের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। এর পাশাপাশি, ওই আসর ঘিরে মাদক সেবন এবং আরও বেশ কিছু বেআইনি কার্যকলাপের প্রমাণ হাতে এসেছে বলেই লালবাজার সূত্রের খবর।
গত শনিবার করোনা-বিধি শিকেয় তুলে হোটেলে রাতভর নাচগানের আসর বসানোর ঘটনার তদন্তে নেমে ৩৭ জনকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সোমবার ফের ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার আধিকারিকেরা। নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি হোটেলের বার ম্যানেজার, ফ্লোর ম্যানেজার, ডিজে-সহ ১০ জন কর্মীকে বুধবার ডেকে পাঠানো হয় লালবাজারে। সেই মতো এ দিন দুপুরেই লালবাজারে পৌঁছন তাঁরা। এর পরে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চলে দীর্ঘক্ষণ।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত শনিবার রাতে ঠিক কী কী হয়েছিল, তা প্রত্যেক কর্মীর থেকে আলাদা আলাদা ভাবে জানতে চাওয়া হয়। এ ছাড়া, কত দিন ধরে এই আসর বসছিল, কারা আসতেন সেখানে, কত ক্ষণ ধরে হইহুল্লোড় চলত— কর্মীদের থেকে এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে চান তদন্তকারীরা। আর সেই প্রশ্নোত্তর পর্বেই বেশ কিছু নতুন তথ্য হাতে আসে তদন্তকারীদের।
হোটেলের ওই রাতের আসরে মাদকের ব্যবহার করা হয়েছিল বলে আগেই অনুমান করেছিলেন গোয়েন্দারা। এ দিন
হোটেলকর্মীদের জেরা করে সেই সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য মিলেছে বলেই লালবাজার সূত্রের খবর। ওই আসর ঘিরে নানা অনৈতিক কার্যকলাপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ওই কর্মীদের আবার লালবাজারে তলব করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি, হোটেল কর্তৃপক্ষ-সহ নতুন আরও বেশ কয়েক জনকে ডেকে পাঠানো হবে বলেও লালবাজার সূত্রের খবর। তবে তাঁদের ঠিক কবে ডাকা হবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। লালবাজারের এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। আরও কয়েক জনকে জেরা করলে সেই সংক্রান্ত তথ্য মিলতে পারে। শীঘ্রই তাঁদের ডাকা হবে।’’
যদিও এই অভিযোগ নিয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি। টেক্সট মেসেজেরও উত্তর দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy