সাবা খাতুন ওরফে নয়নার সঙ্গে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক ছিল শেখ সাজিদ ওরফে মহম্মদ সাজিদ ওরফে রোহিতের। কিন্তু সাজিদ তাঁকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় ব্ল্যাকমেল করতেন সাবা। আর সেই কারণেই তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে রোহিত। তবে খুনের পরে নিজেকে বাঁচাতে এবং পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে থানায় নিজেই ফোন করে সে। একবালপুরের তরুণী খুনের ঘটনায় রোহিতকে গ্রেফতারের পরে এমনই তথ্য মিলেছে বলে জানালেন তদন্তকারীরা। রোহিতের পাশাপাশি তার স্ত্রী আঞ্জুম বেগমকে দেহ লোপাটের চেষ্টায় সাহায্য করার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার আদালতে ধৃতদের ১২ দিনের পুলিশি হেফাজত হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত বুধবার রাত আড়াইটে নাগাদ একবালপুর থানার ৭এফ, এমএম আলি লেনের সামনের ফুটপাত থেকে সাবার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, রোহিতই ফোন করে বাড়ির সামনে একটি বস্তা পড়ে থাকার কথা জানিয়েছিল। পরে পুলিশ এলে দাবি করে, সিগারেট কিনে ফেরার সময়ে সে বস্তাটি পড়ে থাকতে দেখে। রোহিত আরও জানায়, তাতে ভারী কিছু রয়েছে সন্দেহ হওয়ায় এগিয়ে গিয়ে তার মধ্যে আঙুল দেখতে পায় সে। এর পরেই সে পুলিশে খবর দেয়। ওই ঘটনাতেই শনিবার গভীর রাতে ডেন্ট মিশন রোড এবং ডক্টর সুধীর বোস রোডের মোড় থেকে রোহিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় তার স্ত্রীকে।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, গত বুধবার সন্ধ্যায় সাবাকে ফোন করে ডেকে পাঠায় রোহিত। সেই সময়ে রোহিতের স্ত্রী আঞ্জুম বাড়িতে ছিলেন না। তিনি ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন। পুলিশ সূত্রের খবর, সাবা রোহিতের বাড়ি এলে দু’জনে প্রথমে বিয়ার পান করেন। তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়। তার পরে সাবা রোহিতকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। তাতে রোহিত রাজি না হলে সাবা ৭০ হাজার টাকা দাবি করেন। পুলিশের দাবি, রোহিত জেরায় জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে দু’জনের মধ্যে গোলমাল শুরু হলে সে রাগের মাথায় সাবাকে গলা টিপে খুন করে। তার পরেই দেহটি কী করে লোপাট করা যায়, তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে সে। শেষে আঞ্জুমকে ফোন করে ডেকে পাঠায়।