বিনা টিকিটের যাত্রীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে আয় বাড়ানোর চেষ্টা করছে রেল। এ দিকে, সেই তৎপরতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে জালিয়াতির রাস্তা খুঁজে বার করেছে ভুয়ো টিকিট পরীক্ষকদের দল। অভিযোগ, বিভিন্ন ট্রেন এবং স্টেশনে টিকিট পরীক্ষকের বেশে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষা করা ছাড়াও তাঁদের থেকে জরিমানা আদায় করছে। মাস কয়েক আগে শিয়ালদহ ডিভিশনের বালিগঞ্জ স্টেশনে এমন ঘটনা নজরে আসার পরে নড়ে বসেন রেল কর্তৃপক্ষ। সেই সময়ে ওই স্টেশনে দু’জনকে এই অভিযোগে আটক করার পরে তাদের পরিচয় যাচাই করতে গিয়ে সাময়িক ভাবে মুশকিলে পড়েন রেলের আধিকারিকেরাও। তার পরেই নকল টিকিট পরীক্ষকদের চিহ্নিত করতে উদ্যোগী হয় রেল।
এই ব্যবস্থার অঙ্গ হিসাবে শিয়ালদহ ডিভিশনের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার যশরাম মীনা টিকিট পরীক্ষকদের জন্য কিউআর কোড যুক্ত বিশেষ ব্যাজ চালু করেন। এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরে গত এক সপ্তাহে শিয়ালদহ-লালগোলা এবং শিয়ালদহ-লক্ষ্মীকান্তপুর শাখায় আরও দুই নকল টিকিট পরীক্ষক ধরা পড়েছে বলে রেল সূত্রের খবর। এরই মধ্যে সম্প্রতি শিয়ালদহ-লালগোলা শাখায় এক ব্যক্তি টিকিট পরীক্ষা করার সময়ে নিজেকে রেলের ভিজিল্যান্সের আধিকারিক বলে পরিচয় দেন। যাত্রীরা তাঁর পরিচিতি যাচাই করতে গিয়ে গরমিল দেখে তাঁকে আরপিএফের হাতে তুলে দেন। সঞ্জয় ঘোষাল নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা শুরু হয়েছে।
প্রায় একই কায়দায় টিকিট পরীক্ষা করতে গিয়ে আরও এক জন নকল টিকিট পরীক্ষক ধরা পড়েছে লক্ষ্মীকান্তপুর স্টেশনে। ওই ব্যক্তিকে প্রায় হম্বিতম্বি করে টিকিট পরীক্ষা করতে দেখে আসল টিকিট পরীক্ষকের খটকা লাগে। তিনি ব্যাজ দেখতে চাওয়ার পরেই জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। আটক করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকেও। ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক ধরার ক্ষেত্রে শিয়ালদহ ডিভিশনের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন ডিআরএম রাজীব সাক্সেনা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)