Advertisement
E-Paper

পার্ক স্ট্রিট হত্যাকাণ্ড: ২৪ ঘণ্টা পরেও অধরা সন্দেহভাজন দুই সঙ্গী! ভিন্‌রাজ্যে পালিয়ে যেতে পারেন বলে সন্দেহ পুলিশের

শুক্রবার সকালে পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকার একটি হোটেলের ঘর থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের তরফেও পার্ক স্ট্রিট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:২৫
Family of deceased files complaint in Park Street police station

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

পার্ক স্ট্রিটের হোটেলের ঘরে এক যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখনও অধরা তাঁর দুই সঙ্গী। তবে তাঁদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজও। কেন ওই তিন যুবক হোটেলে ঘর ভাড়া করেছিলেন? কোন সূত্রে তিন জনের আলাপ? এমন নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। শুধু তা-ই নয়, মৃতের দুই সঙ্গী কি ভিন্‌রাজ্যে পালিয়েছেন? সেই দিকও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অন্য দিকে, মৃতের পরিবারের তরফেও পার্ক স্ট্রিট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে পার্ক স্ট্রিট এলাকার রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের একটি হোটেলের ঘর থেকে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই হোটেলের ঘরের বক্সখাটের মধ্যে থেকে রাহুল লাল নামে ওই যুবকের পচাগলা দেহ বার করে পুলিশ। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, গত ২২ অক্টোবর রাহুল তাঁর দুই সঙ্গীর সঙ্গে ওই হোটেলের ঘর কয়েক ঘণ্টার জন্য ভাড়া নেন। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, কেন কয়েক ঘণ্টার জন্য হোটেলের ঘর ভাড়া করলেন তাঁরা?

পুলিশ সূত্রে খবর, অপরাধের ইতিহাস রয়েছে রাহুলের নামে। কয়েকটি চুরির ঘটনায় তাঁর নাম জড়িয়েছিল। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে ওই তিন যুবকের হোটেলের ঘর ভাড়া নেওয়ার নেপথ্যে কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ২২ অক্টোবর বিকেল ৫টা নাগাদ ওই হোটেলে ঘরটি কয়েক ঘণ্টার জন্য ভাড়া করেছিলেন তিন জন। ভাড়া করার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের মধ্যে এক জন হোটেল ছেড়ে চলে যান। ওই যুবক কোথায় যান, কেনই বা আবার ফিরে আসেন— তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

পলাতক দুই যুবকের সঙ্গে ওড়িশার যোগ রয়েছে বলে খবর। পুলিশ পলাতকদের খোঁজে ওড়িশাতেও খোঁজখবর করছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ করে রাহুলকে খুন করা হয়েছে। তবে তাঁর মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। কী ভাবে তাঁর মাথায় আঘাত লাগল, তা-ও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। পলাতক দু’জনের কাছে মোবাইল ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। কারণ, মোবাইলের লোকেশনের তথ্য ধরে তাঁদের সন্ধান করা সম্ভব।

Park Street body recovery
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy