E-Paper

জ্বর বা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত পরীক্ষার্থীদের টেস্টে বসা নিয়ে সংশয়

পুজোর ছুটির পরে আগামিকাল শুক্রবার থেকে খুলতে শুরু করছে সরকারি, সরকার পোষিত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত সব স্কুল। এর পরেই শুরু হয়ে যাবে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:০১
An image of Fever

—প্রতীকী চিত্র।

পুজোর ছুটির শেষে স্কুল খুললেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা শুরু। অথচ, এখনও অসুস্থ অনেক পরীক্ষার্থীই, এমনটাই জানাচ্ছে স্কুলগুলি। ফলে তাদের পরীক্ষায় বসতে পারা নিয়ে সংশয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

পুজোর ছুটির পরে আগামিকাল শুক্রবার থেকে খুলতে শুরু করছে সরকারি, সরকার পোষিত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত সব স্কুল। এর পরেই শুরু হয়ে যাবে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট। তার কিছু দিন পর থেকেই শুরু হবে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন। কয়েকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, পড়ুয়াদের কেউ কেউ জানিয়েছে, তাদের কারও জ্বর হয়েছে, তো কারও ডেঙ্গি। এমনকি হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছে কাউকে। এই অবস্থায় পরীক্ষায় বসা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। বিশেষ করে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষার্থীদের নিয়েই সংশয় বেশি।

নারায়ণ দাস বাঙুর মেমোরিয়াল মাল্টিপারপাজ় স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া জানালেন, পুজোর ছুটির মধ্যেই তিনি জানতে পেরেছেন, তাঁদের স্কুলের কয়েক জন পড়ুয়া জ্বরে আক্রান্ত। যাদের মধ্যে দু’জন আবার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। তাদের এক জনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। সঞ্জয় বলেন, ‘‘যারা পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন বা বার্ষিক পরীক্ষা দেবে, তাদের কিছু দিন দেরি আছে পরীক্ষার। কিন্তু টেস্ট শুরু হচ্ছে শুক্রবার থেকেই। মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অসুস্থদের জন্য হাসপাতালে পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। যদিও টেস্টে সে রকম ব্যবস্থা নেই।’’ তাঁর প্রশ্ন, পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা না দিলে তাদের উত্তীর্ণ করা হবে কি?’’

মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রের খবর, এই সিদ্ধান্ত স্কুল কর্তৃপক্ষের উপরে নির্ভর করছে। সঞ্জয় জানান, অসুস্থ পড়ুয়াদের পরে আর পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। কারণ, টেস্টের প্রশ্ন তো প্রকাশ হয়েই যাবে। কোনও উপায় না থাকলে তখন ওই পড়ুয়াদের নবম থেকে দশমে ওঠার ফল এবং দশম শ্রেণির আগের দুই পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের ফলের উপরে নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রচুর মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। দক্ষিণ দমদম পুর এলাকার সুভাষনগর হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক সাইদুল ইসলাম জানান, তাঁদের স্কুল দক্ষিণ দমদম পুরসভার অন্তর্গত হওয়ায় জ্বর বা ডেঙ্গিতে ভুগছে অনেক পড়ুয়াই। সাইদুল বলেন, ‘‘কয়েক জন পড়ুয়ার জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। ডেঙ্গি কি না জানি না। যেটাই হোক, টেস্ট পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া যাবে না। কারণ, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে টেস্ট পরীক্ষা শেষ করতে বলেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সাইদুল বলেন, ‘‘টেস্ট পরীক্ষা না দিলে সে ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে এবং আগের ফলাফল দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’’

উত্তর কলকাতার আরও কয়েকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, এ ক্ষেত্রে আগের দুই পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের ফল দেখা হবে। মিত্র ইনস্টিটিউশন ভবানীপুর শাখার প্রধান শিক্ষক রাজা দে-র আবার ভিন্ন মত। করোনার সময়ে টেস্ট পরীক্ষা ছাড়াই সবাইকে মাধ্যমিকে বসতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হতে পারেনি ওই স্কুলের কয়েক জন। এর ফলে স্কুলের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছিল বলে মনে করছেন রাজা। তাই তিনি বলছেন, ‘‘টেস্ট না দিয়ে কোনও পড়ুয়ার মাধ্যমিক বা উচ্চ
মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসানোর বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের মত নেই। হয়তো দেখা গেল, ওই পড়ুয়া মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হতে পারল না। তাই স্থির করেছি, কেউ
অসুস্থতার কারণে পরীক্ষা দিতে না পারলে, ওদের আলাদা করে পরীক্ষা নেওয়া হবে। টেস্ট পরীক্ষার থেকে কম নম্বরে সেই পরীক্ষা হবে। সেই ফলাফলের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Fever Dengue fever Board Examination test examination School students

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy