Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ভাড়া বিভ্রাট মেটাতে ‘১০ বর্গফুট তত্ত্ব’

পুর আধিকারিকদের একাংশের মতে, এর পরেই বিপত্তির সূত্রপাত। কারণ বর্ণপরিচয় মার্কেটে যখন দোকানদারদের জায়গা দেওয়া হল, দেখা গেল, বরাদ্দ জায়গার সঙ্গে পার্থক্য থাকছে।

জট: এই বাজারের ভাড়া নিয়েই গোলমাল। নিজস্ব চিত্র

জট: এই বাজারের ভাড়া নিয়েই গোলমাল। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৯ ১১:৪৩
Share: Save:

কারও নির্ধারিত জায়গা থেকে কম। কারও বা বেশি। কলেজ স্ট্রিটের বর্ণপরিচয় মার্কেটে অনেক স্টলেরই এমন অবস্থা। ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, জায়গার এই তারতম্যের কারণে ভাড়া নিয়ে গোলমাল হচ্ছে। সমস্যার সমাধানে কলকাতা পুরসভা এ বার ‘১০ বর্গফুট তত্ত্ব’ আনল। যে তত্ত্বে বলা হয়েছে, নির্ধারিত জায়গার থেকে ১০ বর্গফুট জায়গা কম বা বেশি হলে তা উপেক্ষা করা হবে। এ জন্য ভাড়ার পরিবর্তন হবে না।

পুরসভা সূত্রের খবর, কলেজ স্ট্রিট মার্কেট ভেঙে বর্ণপরিচয় মার্কেট তৈরির কাজ বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে বেশ কয়েক বছর আগে হয়েছিল। তখনই ওই ব্যবসায়ীদের মার্কাস স্কোয়ারে পুনর্বাসন দেওয়া হয়। ওই মার্কেটে কোন ব্যবসায়ীর জন্য দোকানে কতটা জায়গা, সে তথ্য কলকাতা পুরসভায় নথিভুক্ত করা হয়েছিল। পুর আধিকারিকদের একাংশের মতে, এর পরেই বিপত্তির সূত্রপাত। কারণ বর্ণপরিচয় মার্কেটে যখন দোকানদারদের জায়গা দেওয়া হল, দেখা গেল, বরাদ্দ জায়গার সঙ্গে পার্থক্য থাকছে।

২০১৩ সালে পুর প্রশাসনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, যদি কোনও ব্যবসায়ী বাড়তি জায়গা নিতে রাজি না হন, তখন তাঁর পার্শ্ববর্তী দোকানদারকে পুরসভা অনুরোধ করবে সেটি নিতে। সে ক্ষেত্রে দোকানদারকে নির্দিষ্ট ভাড়া দিতে হবে। যদি দেখা যায়, কারও জায়গা অনেক কমে গিয়েছে, তখন তাঁকে পুরসভায় নথিভুক্ত করা জায়গার সমপরিমাণ অন্যত্র দেওয়া হবে। এর পরেও সমস্যা চলতে থাকায় সম্প্রতি পুর প্রশাসনের বৈঠকে ১০ বর্গফুটের এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, ‘‘১০ বর্গফুট জায়গা কম-বেশি হলে ভাড়ার উপরে কোনও প্রভাব পড়বে না। শুধু মূল জায়গার জন্যই ভাড়া দিতে হবে।’’ মেয়র পারিষদ (বাজার) আমিরুদ্দিন ববি বলেন, ‘‘জায়গা নিয়ে একটা সমস্যা ছিল। তার সমাধান হয়েছে।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

পুর আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, ওই মার্কেটের সি ব্লক নিয়ে আরও একটি সমস্যা রয়েছে। ব্যবসায়ীদের অনেক আগে চাবি দেওয়া হলেও বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। পুরসভা ব্যবসায়ীদের জানিয়েছিল, সরাসরি সিইএসসি-র থেকে বিদ্যুতের সংযোগ নিতে। সে প্রক্রিয়া এত দিনেও শেষ না হওয়ায় ওই ব্যবসায়ীদের থেকে পুরো ভাড়া নিতে পারছেন না পুর কর্তৃপক্ষ। সি ব্লকের ব্যবসায়ী সংগঠনের তরফে রাজীবকুমার গুপ্ত বলেন, ‘‘সিইএসসি-র থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রথম পর্বে ৫০টি মিটার বসানো হবে। বিদ্যুৎ, শৌচালয়, পানীয় জলের সরবরাহের সমস্যা মিটে গেলে পুরো ভাড়া দেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE