আগুন থেকে অন্যকে সুরক্ষা দেওয়াই যাঁদের কাজ, তাঁদের নিজেদেরই সুরক্ষার ব্যবস্থা নেই!
দমকলকর্মীদের জন্য তাই পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্টস (পিপিই) কেনার ব্যাপারে উদ্যোগী হলেন দমকলের ডিজি জগমোহন। দমকলের এক কর্তা জানান, আগুন নেভানোর সময়ে গনগনে তাপ থেকে যাতে রেহাই মেলে, তার জন্য প্রতিটি পিপিই সেটে থাকে হেলমেট, গামবুট, জ্যাকেট, ট্রাউজার ইত্যাদি। এর প্রতিটিই তাপনিরোধক। প্রত্যেক সেটের দাম প্রায় ৬০ হাজার টাকা। আপাতত ৬০০টি পিপিই সেট কিনতে চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
গত ১৭ মে বড়বাজারের পর্তুগিজ স্ট্রিটে একটি রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণের পরে আগুন নেভাতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছিলেন এগারো জন দমকলকর্মী। দমকল কর্তারাই জানাচ্ছেন, আগুন নেভানোর সময়ে কর্মীদের গায়ে দমকলের ওই বিশেষ পোশাক না থাকাতেই সমস্যা বেড়ে গিয়েছিল। দফতর সূত্রে খবর, বড়বাজারের দুর্ঘটনার পরেই বিভাগীয় আধিকারিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে করেছিলেন ডিজি। সেই বৈঠকেই বেশি সংখ্যায় পোশাক কেনার আর্জি জানিয়ে অর্থ দফতরের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়। দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দমকলকর্মীদের স্বার্থে অগ্নি নিরাপত্তামূলক পোশাক ও যন্ত্রপাতি কেনার ব্যাপারে জোর দেওয়া হচ্ছে। এগুলো থাকলে কর্মীদের সুরক্ষা এবং কাজের মান দুই-ই বাড়বে।’’
২০১৫ সালেও কিছু পিপিই কেনা হয়েছিল। কিন্তু তা ছিল সিন্ধুতে বিন্দুর মতো। দক্ষিণ কলকাতার একটি ফায়ার স্টেশনের ওসি বলেন, ‘‘বিষাক্ত ধোঁয়া আটকাতে দমকলকর্মীদের ‘ফেস মাস্ক’ থাকাটাও প্রয়োজন। কিন্তু এ নিয়ে দীর্ঘ দিন দরবার করেও কোনও
সুরাহা হয়নি।’’