জরাজীর্ণ অবস্থায় দীর্ঘ দিন পড়ে রয়েছে পারাপারের কাঠের সেতু। কাঠের খুঁটিগুলিতে খালের জলে পচন ধরেছে। বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিল যাতায়াত। অভিযোগ, বার বার জানিয়ে প্রশাসনের আশ্বাস মিললেও কাজ হয়নি। দীর্ঘ দিন ধরে স্থায়ী সেতুর দাবি তুলছিলেন বাসিন্দারা। বিপদকে সঙ্গী করেই চলত নিত্য যাতায়াত।
সম্প্রতি দুর্ঘটনা এড়াতে পঞ্চায়েতের তরফে সাময়িক ভাবে বন্ধ করা হয়েছে সেই সেতু। তাতেই সমস্যায় পড়েছেন অসংখ্য নিত্যযাত্রী। যদিও পঞ্চায়েতের দাবি, ওই সেতুর স্থায়ী সংস্কার হবে। রাজারহাটের চাঁদপুর পঞ্চায়েতের কাদা গ্রাম এলাকায় ওই সেতুটি নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, রাজারহাটের চাঁদপুর ও পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার যোগাযোগ রক্ষা করে ওই সেতু। চাঁদপুরের শিখরপুর, নয়াবাদ, হুদোরআইট, বাগু, ঝালগাছি এলাকা থেকে ওই সেতু ধরে সহজে নিউ টাউনের দিকে যাতায়াত করা যায়। আবার পাথরঘাটার আকন্দকেশরি, বনমালীপুর, ছাপনা থেকে চাঁদপুরের দিকেও যাতায়াত কররা যায়।
দুর্ঘটনা এড়াতে আপাতত ওই সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করেছে প্রশাসন। শুধু হেঁটেই পারাপারের ব্যবস্থা রয়েছে। এর জেরে সমস্যায় পড়েছেন সকলে। শিখরপুর থেকে নিউ টাউনের সাপুরজি রুটের অটোর উপরে নির্ভরশীল স্কুল পড়ুয়া ও নিত্যযাত্রীরা। বর্তমানে সেতুর দু’পাশ থেকে নিউ টাউন ও শিখরপুরে অটো চলছে। তার জেরে যাত্রী কমেছে, আয় প্রায় অর্ধেক হয়েছে বলে দাবি অটো চালকদের একাংশের।
আরও মুশকিলে পড়েছেন চাঁদপুরের ফুল ব্যবসায়ীরা। বিশেষত শীতকালে ফুলের রফতানি করেন তাঁরা। ব্যবসার অন্যতম মরসুম এটাই। ওই সেতু ধরেই চাঁদপুর থেকে তাঁরা শহরে যাতায়াত করেন। ব্যবসায়ীদের একাংশের কথায়, সেতু বন্ধ হওয়ায় পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে। এর জেরে খরচ অনেকটাই বেড়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বীরেন মণ্ডল জানান, মাস দেড়েকের মধ্যে সেতু সংস্কার শেষ করবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।
রাজারহাট পঞ্চায়েতের সভাপতি প্রবীর কর জানান, সেতুর অবস্থা খুবই খারাপ হয়েছিল। দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছিল। সংস্কারের জন্য সাময়িক কালের জন্য সেতুতে গাড়ি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে একটি স্থায়ী সেতু তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য ইতিমধ্যেই প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।রাজারহাট-নিউ টাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় জানান, বাসিন্দাদের দাবি ছিল। সেই মতো ৬০ লক্ষ টাকা দিয়ে ওই সেতুর স্থায়ী সংস্কার করা হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)