Advertisement
০২ মে ২০২৪

মাদক মজুতে গ্রেফতার আরও ৪

পুলিশ জানায়, বিষ্ণু প্রধান ওই মাদক মণিপুর থেকে নিয়ে আসত। অসম, শিলিগুড়ি হয়ে সেই মাদক পৌঁছত কলকাতায়। শ্যামলাল ছিল বিষ্ণুর স্থানীয় এজেন্ট।

—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৮ ০১:১২
Share: Save:

গত সপ্তাহে অসমের নগাঁওয়ের বাসিন্দা মুহিবর খানকে গ্রেফতার করে হাজারখানেক মাদক ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করেছিলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন তাকে জেরা করে কালীপুজোর রাতে সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি মাদক ট্যাবলেট মিলল দমদমের কবি মধুসূদন দত্ত রোডের একটি বাড়ি থেকে। মাদক রাখার অভিযোগে সেই বাড়ির বাসিন্দা অনির্বাণ দে-সহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, বাকিদের নাম শ্যামলাল যাদব, শাহিন মণ্ডল ও বিষ্ণু প্রধান।

পুলিশ জানায়, বিষ্ণু প্রধান ওই মাদক মণিপুর থেকে নিয়ে আসত। অসম, শিলিগুড়ি হয়ে সেই মাদক পৌঁছত কলকাতায়। শ্যামলাল ছিল বিষ্ণুর স্থানীয় এজেন্ট। সে স্কুল ও কলেজের পড়ুয়া-সহ বিভিন্ন লোকের কাছে চড়া দামে বিক্রি করত সেই মাদক ট্যাবলেট। এ ছাড়া, বসিরহাট, স্বরূপনগরেও সে মাদক পৌঁছে দিত। সেখান থেকে তা যেত বাংলাদেশে। শ্যামলালের স্থানীয় এজেন্ট অনির্বাণ।

প্রাথমিক তদন্তের পরে ও ধৃতদের জেরা করে গোয়েন্দারা আরও জানতে পারেন, ধৃত শাহিন স্বরূপনগরের বাসিন্দা। সে অনির্বাণের বাড়িতে এসেছিল শ্যামলালের থেকে মাদক নিয়ে বাংলাদেশে পাচার করার জন্য।

গোয়েন্দারা জানান, গত কয়েক দিন ধরে অনির্বাণের বাড়িতে থানা গেড়েছিল তিন জন। বিষ্ণু মণিপুর থেকে যে মাদক আনত, তা আসত মায়ানমার থেকে। ধৃত অনির্বাণ, শ্যামলাল, শাহিন ও বিষ্ণুকে বুধবার শিয়ালদহ আদালতের বিচারক বাণীব্রত দত্তের এজলাসে হাজির করানো হয়। সরকারি কৌঁসুলি অরূপ চক্রবর্তী আদালতে জানান, অনির্বাণের বাড়িতেই বাকি তিন জন ডেরা বেঁধে মাদক পাচার করছিল। তাদের কাছ থেকে ৫৬০০টি মাদক ট্যাবলেট মিলেছে। বিচারক চার জনকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Arrest Police Drugs
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE