সকাল থেকেই জয়ের খবর আসছিল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর দল যে কেন্দ্রে এত ভোটে জিততে পারে তা তাঁর জানা ছিল না। তাই দোকান খোলা রাখলেও তা ফাঁকা রেখেই বাড়িতে টিভি দেখতে ছুটলেন নবীন সম্পত। তার পরে নবীন বাড়িতে টিভি বন্ধ করেছেন বিজেপির জয় নিশ্চিত হওয়ার পরেই। শুধু তিনিই নন, শরৎ বসু রোড এবং ভবানীপুরের রয় স্ট্রিট সংলগ্ন গুজরাতি অধ্যুষিত এলাকায় অনেক পরিবারেই এ দিন ছিল খুশির মেজাজ। ওই অঞ্চলের পাড়ায় পাড়ায় ছিল মানুষের জটলা। জয়ের আনন্দে শরৎ বসু রোডে একটি গুজরাতি মিষ্টির দোকানে এ দিন আলাদা করে তৈরি করা হয় লাড্ডুও।
বিরোধীরা তাঁকে যতই বিতর্কে জড়ানোর চেষ্টা করুন, মোদী যে তাঁদের ঘরের লোক তা এ দিন স্পষ্ট করে জানান শরৎ বসু রোড এবং ভবানীপুরের রয় স্ট্রিটের বাসিন্দারা। তাই আবারও মোদী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন কি না তা নিয়ে এ দিন নবীনের মতো ওই এলাকার বাসিন্দাদের সকলেই উৎসাহী ছিলেন। নবীনের কথায়, ‘‘মোদীজিই যে আবার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন এটা জেনে সত্যিই খুব আনন্দ হচ্ছে। আমি কোনও রাজনৈতিক দল করি না। কারা ক্ষমতায় থাকল বা কারা থাকল না তাতেও আমার কিছু না। তবে উন্নয়নের কাজ হবে এইটুকু তো চাইবই। এবং আমার আশা মোদী উন্নয়ন করবেনই।’’
ছোটবেলায় গুজরাতের সুদূর কচ্ছ থেকে কলকাতায় এসেছিলেন নবীন। কয়েক বছর আগে স্ত্রী বিয়োগের পর থেকে ভাই ভরত এবং চার মেয়েকে নিয়েই তাঁর সংসার। রয় স্ট্রিটের মুখে একটি চানাচুর এবং মিষ্টির দোকান রয়েছে নবীনদের। তাঁর ভাই ভরত বলেন, ‘‘বহু বছরের ব্যবসা। আমরা এখন বাঙালিই হয়ে গিয়েছি। এখানেই পড়াশোনা। এখানকার কেউ যদি দেশকে সম্মানিত করেন তাতেও যেমন আনন্দ হয়, তেমনই গুজরাতের কোনও ব্যক্তি দেশকে সম্মানিত করলেও গর্ব হয়।’’