Advertisement
২৩ মার্চ ২০২৩

অফিসে যৌন হেনস্থা, তিন বছর জেল জিএমের

সরকারি কৌঁসুলি জি ত্রিবেণী রেড্ডি জানান, বিচারক তাঁর রায়ে জানিয়েছেন, অংশুমণীশ নিজের ক্ষমতা এবং প্রভাব খাটিয়ে ওই মহিলাকে যৌন হেনস্থা করেছেন। একই সঙ্গে সরকারি কৌঁসুলি জানান, ক্ষতিপূরণ হিসেবে অভিযোগকারিণী পাবেন জরিমানার ৮০ শতাংশ টাকা।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:১৬
Share: Save:

কর্মক্ষেত্রে অধস্তন এক মহিলা কর্মীকে যৌন হেনস্থার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেন এক ব্যক্তি। বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতের চতুর্থ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৌভিক দে তিন বছর কারাবাসের নির্দেশ দেন অভিযুক্ত অংশুমণীশ খালোপাকে। একই সঙ্গে তাঁর দশ হাজার টাকা জরিমানাও হয়েছে। জরিমানার টাকা অনাদায়ে অংশুমণীশকে আরও ছ’মাস কারাবাসে থাকতে হবে। ওই ব্যক্তি জওহরলাল নেহরু রোডের একটি বেসরকারি সংস্থায় উচ্চ পদে কর্মরত।

Advertisement

সরকারি কৌঁসুলি জি ত্রিবেণী রেড্ডি জানান, বিচারক তাঁর রায়ে জানিয়েছেন, অংশুমণীশ নিজের ক্ষমতা এবং প্রভাব খাটিয়ে ওই মহিলাকে যৌন হেনস্থা করেছেন। একই সঙ্গে সরকারি কৌঁসুলি জানান, ক্ষতিপূরণ হিসেবে অভিযোগকারিণী পাবেন জরিমানার ৮০ শতাংশ টাকা। এ দিন সাজা ঘোষণার পরে জামিনে থাকা অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। বিচারক তাঁর কাছে জানতে চান, তিনি এই সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন কি না। অংশুমণীশ আপিলের আবেদন করতে চান শুনে নিয়ম মাফিক বিচারক তাঁকে ফের জামিন দেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেসরকারি সংস্থাটির অর্থ বিভাগে জেনারেল ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন অংশুমণীশ। তাঁর অধীনে ওই মহিলা কাজে যোগ দেন ২০১১ সালে। ২০১৩-র ২৩ অগস্ট শেক্সপিয়র সরণি থানায় তিনি অভিযোগ করেন, কাজে যোগ দেওয়ার পর থেকেই অংশুমণীশ নিজের প্রভাব খাটিয়ে তাঁর ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। কয়েক বার জোর করে ঘনিষ্ঠও হন। একই সঙ্গে মহিলাকে যৌন হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ। থানায় বিষয়টি জানানোর পরে উল্টে তাঁকেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন কর্তৃপক্ষ।

লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, শেক্সপিয়র সরণি থানার তদন্তকারী অফিসার অভিযোগকারিণীকে আদালতে নিয়ে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করান। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানও নথিভুক্ত করা হয়। তবে সেই সময়ে অংশুমণীশকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ব্যাঙ্কশাল আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা এবং যৌন সংসর্গের জন্য চাপ সৃষ্টির অভিযোগে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। এর পরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন ওই ম্যানেজার। মামলা চলেছিল তিন বছর। মামলা চলাকালীন জামিনে ছিলেন অংশুমণীশ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.