ফাইল চিত্র
করোনায় আক্রান্ত এক ব্যক্তি ও তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে জুতো দিয়ে মারার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। পাটুলি থানা এলাকার কেন্দুয়া মেন রোডের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। জুতো দিয়ে মারার কথা অস্বীকার করে প্রতিবেশীর পাল্টা অভিযোগ, ওই রোগী ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অন্য আবাসিকদের সংক্রমণের আশঙ্কা থাকায় বাইরে বেরোতে বারণ করলে উল্টে ওই রোগীই খারাপ ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রের খবর, কেন্দুয়া মেন রোডের একটি আবাসনের এক বাসিন্দা মঙ্গলবার ইমেল করে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই ব্যক্তি জানান, তিনি ও তাঁদের পরিচারিকা করোনায় আক্রান্ত। দু’জনেই মুকুন্দপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে বাড়িতেই কোয়রান্টিনে রয়েছেন। ওই রোগীর অভিযোগ, এর পর থেকেই নানা ভাবে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের। তাঁর পরিবারের সদস্যেরা ছাদ বা লিফট ব্যবহার করলে অন্য আবাসিকেরা বাধা দিচ্ছেন। মঙ্গলবার তাঁর স্ত্রী ছাদে গেলে কটূক্তি করা হয় বলেও অভিযোগ।
ওই রোগী আরও জানিয়েছেন, মঙ্গলবার হেনস্থা চরম আকার নেয়। তাঁর অভিযোগ, এক প্রতিবেশী প্রথমে ফোন করে হুমকি দেন। ফোনে বচসার পরে ওই প্রতিবেশী তাঁকে দরজা খুলতে বলেন। অভিযোগ, দরজা খুললেই তাঁকে এবং স্ত্রীকে জুতো দিয়ে মারেন ওই আবাসিক ও তাঁর ছেলে। কোনও রকমে দরজা বন্ধ করে দেন তাঁরা। পুরো ঘটনাটিই তাঁদের ছোট ছেলের সামনে ঘটে বলেও অভিযোগ।
পাটুলি থানা জানিয়েছে, ওই রোগীর অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।তবে পুলিশ সূত্রের খবর, ওই রোগী কোনও বিধি মানছেন না বলে অভিযোগ এসেছে। এর আগে দু’বার অন্য আবাসিকেরা জানিয়েছেন, কোভিড পজ়িটিভ হওয়া সত্ত্বেও ওই ব্যক্তি ও তাঁর পরিবারের সদস্যেরা ছাদ ও আবাসন চত্বরে ঘুরছেন। লিফটেও উঠছেন। বুধবার অন্য আবাসিকেরা ওই রোগী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে হোম কোয়রান্টিনের কোনও বিধি না-মানার অভিযোগ দায়ের করেছেন থানায়।
শুধু তা-ই নয়, পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুই পক্ষের মধ্যে গোলমালের পরে করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তি স্ত্রীকে রিকশা করে থানায় পাঠান অভিযোগ জানাতে। থানার পুলিশকর্মীরা বিষয়টি জেনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বাড়ি গিয়ে ইমেলে অভিযোগ জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। থানা জীবাণুমুক্ত করার পাশাপাশি খোঁজ চলছে ওই রিকশাচালকের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy