Advertisement
০২ মে ২০২৪
POCSO

খাবারে মাদক মেশালেন মা, ধর্ষণ ছেলের, হরিদেবপুরে কিশোরীর অভিযোগে গ্রেফতার দু’জনেই

পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের মা ওই নাবালিকাকে বাড়িতে ডেকে এনেছিলেন। তার পর খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিলেন মাদক। সেই সুযোগে যুবক যৌন হেনস্থা করেন।

হরিদেবপুরে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার যুবক। মদত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার মা।

হরিদেবপুরে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার যুবক। মদত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার মা। ছবি: প্রতীকী

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:৩৪
Share: Save:

নিমন্ত্রণ করে বাড়িতে ডেকে এনে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের মা ওই নাবালিকাকে বাড়িতে ডেকে এনেছিলেন। তার পর খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিলেন মাদক। তার প্রভাবে অচৈতন্য হয়ে পড়তেই দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুরের বাসিন্দা মহিলার ছেলে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত মা ও ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার সঙ্গে একটি প্রতিষ্ঠানে বিউটিশিয়ান কোর্স করতেন অভিযুক্তের মা। হরিদেবপুরের বাড়িতে তাঁর একটি পার্লারও রয়েছে। গত অক্টোবরে কালীপুজো উপলক্ষে ওই নাবালিকাকে নিমন্ত্রণ করে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত মহিলা। এর পরেই খাবারে মাদক মিশিয়ে দেন বলে অভিযোগ। খাবার খেয়ে কিশোরী অচেতন হয়ে পড়লে তাকে ওই যুবক ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।

পুলিশ সূত্রের খবর, তিন দিন ধরে চলে নির্যাতন। তিন দিন পর কোনও মতে পালিয়ে যায় সে। বাড়ি ফিরে এক আত্মীয়কে সব কথা জানায়। এর পর এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যায় সে। প্রথমে সামাজিক লজ্জার কারণে ধর্ষণের অভিযোগ করতে চায়নি পরিবার। শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাঁর মাকেও গ্রেফতার করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sexual Assault arrest rape POCSO
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE