Advertisement
E-Paper

গড়িয়াহাট, ধর্মতলার ফুটপাথেও লাইন দিয়ে প্লাস্টিকের ছাউনি! বড়বাজারে অগ্নিকাণ্ডের পরেও কি হুঁশ ফিরবে না?

কলকাতা পুরসভার তরফে ফুটপাথের দোকানগুলিতে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষেধ করা হয়েছিল। তার পরেও ফুটপাথের দোকানগুলিতে কেন প্লাস্টিকের ব্যবহার হচ্ছে, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২৫ ২২:০০
Hawkers of Gariahat and New Market still using Plastic Shades, even After Burrabazar Fire incident

প্লাস্টিকের ছাউনিতে ঢেকে রয়েছে গড়িয়াহাটের ফুটপাথের দোকানগুলি। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

কোথাও লাইন দিয়ে প্লাস্টিকের ছাউনিতে ঢেকে রয়েছে ফুটপাথ। কোথাও আবার জায়গায় জায়গায়। বড়বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরেও গড়িয়াহাট এবং ধর্মতলার ফুটপাথ ঘুরে এমনই ছবি ধরা পড়ল।

গত মঙ্গলবার রাতে বড়বাজারের মেছুয়াপট্টির হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের পরেই প্রকাশ্যে এসেছিল একাধিক অনিয়মের কথা। তার মধ্যে অন্যতম— হোটেলে দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বার বার সে কথা বলেছেন। শুধু হোটেলই নয়, শহরের দোকান-বাজারে দাহ্য পদার্থ মজুত রাখার বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা পুরসভার তরফেও ফুটপাথের দোকানগুলিতে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষেধ করা হয়েছিল। তার পরেও ফুটপাথের দোকানগুলিতে কেন প্লাস্টিকের ব্যবহার হচ্ছে, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়ে।

শনিবার গড়িয়াহাট ঘুরে দেখা গেল, জায়গায় জায়গায় কালো প্লাস্টিকের ছাউনিতে ঢেকে রয়েছে ফুটপাথের দোকানগুলি। এর আগে ২০১৯ সালে গড়িয়াহাটের একটি বস্ত্র বিপণিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়েছিল। সেই আগুন আশপাশের স্টলের প্লাস্টিকের ছাউনিতে লেগে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই সময় পুর প্রশাসন জানিয়েছিল, প্লাস্টিকের ছাউনি দিয়ে ব্যবসা করা যাবে না। কিন্তু তা যে শোনা হয়নি, ফুটপাথ ঘুরে তা স্পষ্ট হল। প্রশ্ন উঠছে, বড়বাজারের ঘটনার পরেও হকারেরা সচেতন হবেন না?

যদিও গড়িয়াহাট ইন্দিরা হকার্স ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক লালন নন্দীর বক্তব্য, ‘‘বর্ষার সময় প্লাস্টিকের ব্যবহার বাড়ে। অন্য সময় প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয় না।’’ লালন জানান, প্রশাসন থেকে তাঁরা ইতিমধ্যেই একটি চিঠি পেয়েছেন। এর পরেই ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে একটি বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফুটপাথের কোনও দোকানে গ্যাস এবং প্লাস্টিক জাতীয় দাহ্য পদার্থের ব্যবহার হচ্ছে কি না, তা দেখা হবে বলে জানান লালন।

একই ছবি ধর্মতলার ফুটপাথেও। সেখানে লাইন দিয়ে প্লাস্টিকের ছাউনির জঙ্গল। যে রকম বিপজ্জনক ভাবে প্লাস্টিক ঝুলছে, তাতে যে কোনও সময়ে বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। প্রোগ্রেসিভ হকার্স ইউনিয়নের মধ্য এবং উত্তরের সম্পাদক মহম্মদ শাহনওয়াজ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কিছু বলে থাকলে সেটা আমরা মানব। দরকার পড়লে সকলকে ডেকে বলব। দরকার পড়লে চাদর বা ছাতা ব্যবহার করা হোক।’’

Burrabazar Fire Gariahat KMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy