প্রতীকী ছবি।
কলকাতা পুর ভবনে স্বাস্থ্য দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক এবং তাঁর সহকারী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরেই কোয়রান্টিনে চলে গিয়েছিলেন ওই দু’জন-সহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা। শুধু তা-ই নয়, পুর কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, করোনা পরীক্ষার ফল যদি কারও নেগেটিভ আসে, তা হলে তাঁরা চলতি সপ্তাহে কাজে যোগ দিতে পারবেন। গত শুক্রবার ৩৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা পরীক্ষা হয়েছিল। তাতে কারওরই করোনা ধরা পড়েনি। ফলে বুধবার সদর দফতরে তাঁরা কাজে যোগ দেন।
পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই শীর্ষ আধিকারিক এবং তাঁর সহকারী এখনও কোয়রান্টিনে রয়েছেন। পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষও করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় দফতরে আসছেন না।
পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিন সকালে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সব ঘরই খোলা হয়েছে। অতীনবাবু যে ঘরে বসেন সেটি আগে জীবাণুমুক্ত করার জন্য এক বার খোলা হয়েছিল। পরে সেটি আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁর অফিস অন্য ঘরে থাকায় সেটি খোলা রয়েছে। সেখানে কর্মীরা কাজও করছেন। স্বাস্থ্য দফতরের যে ঘরে কাগজপত্র জমা নেওয়া এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে, সেই ঘরের বাইরে একটি কাউন্টার খোলা হয়েছে। ওই কাউন্টারেই কাগজপত্র জমা নেওয়া হবে।
পুরসভার জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র বিভাগেও একটি বাক্স রেখে তার মধ্যে কাগজপত্র জমা নেওয়া হচ্ছে। এ দিন সকালেও স্বাস্থ্য দফতরের অনেকগুলি ঘরেই জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে বলে পুর আধিকারিকেরা জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy