এ ভাবেই ভেঙে পড়ে ছিল হাইট বারটি। উল্টোডাঙায়। নিজস্ব চিত্র
বারবার উল্টোডাঙা উড়ালপুলে দু’দিকে লাগানো হচ্ছে হাইট বার। একাধিক বার তা ভেঙেও পড়েছে। সম্প্রতি ভেঙে পড়া হাইট বার ফের লাগানো হয়েছে। যদিও স্থানীয়দের প্রশ্ন, এর মেয়াদ কত দিন?
উল্টোডাঙা উড়ালপুলে ২০১৩ সালে ঘটে যাওয়া বড় দুর্ঘটনার পরে প্রথম বার দু’প্রান্তে লাগানো হয়েছিল হাইট বার। মূলত বড় গাড়ির উড়ালপুলে ওঠা আটকাতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ইঞ্জিনিয়ারদের মতে, এর ফলে উড়ালপুল নিরাপদ থাকবে। কিন্তু বারবার সেই হাইট বার ভেঙে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, নজরদারি কোথায়? যার ফাঁক গলে ব্যাহত হচ্ছে উড়ালপুলের রক্ষণাবেক্ষণ।
২০১৩ সালের ৩ মার্চ। ভোর সোয়া চারটে নাগাদ বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল, স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা দেখেন, উল্টোডাঙা থেকে ইস্টার্ন বাইপাসমুখী উড়ালপুলের একটা বিরাট অংশ ভেঙে পড়েছে। উড়ালপুল থেকে নীচে খালে পড়ে গিয়েছে একটি ট্রাকও। ঘটনায় ট্রাকচালক-সহ তিন জন গুরুতর জখম হন। এর পরেই উড়ালপুল মেরামত করা হয় এবং বড় গাড়ি যাতে না উঠতে পারে, সে জন্য দু’প্রান্তে প্রথম বার হাইট বার বসানো হয়। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই গাড়ির ধাক্কায় তা ভেঙে যায়। ফের বড় গাড়ি চলতে থাকে উড়ালপুল দিয়ে।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, বিষয়টি নজরে আসতেই দু’দিকেই দ্রুত হাইট বার লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কয়েক মাস যেতে না যেতেই ফের সেটি ভেঙে পড়ে। উল্টোডাঙা এলাকার ওই উড়ালপুলের আশপাশের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, গত পাঁচ বছরে বহুবার ওই হাইট বার ভেঙে গিয়েছে। নতুন করে তা লাগানোও হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, নজরদারির অভাবে বারবার একই ঘটনা ঘটছে। যদিও ট্র্যাফিকের দাবি, উড়ালপুলের দু’প্রান্তেই বড় গাড়ি না ওঠার নির্দেশিকা দেওয়া রয়েছে। তা সত্ত্বেও নিয়ম ভাঙা হচ্ছে।
উড়ালপুলের কাছেই দোকান রয়েছে সুধীর মিশ্রের। তাঁর কথায়, মাস কয়েক আগে ভোরের দিকে একটি বাস উড়ালপুলে ওঠার চেষ্টা করে। হাইট বারের সঙ্গে সংঘর্ষে বাসের ছাদ সাঙ্ঘাতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যায় বাসটি। উল্টোডাঙা এলাকার এক ট্র্যাফিক পুলিশের কথায়, অনেক সময়ে বাস বা ট্রাকচালক বুঝতে পারেন না কতটা উচ্চতা রয়েছে। ফলে জোর করে যেতে গিয়ে হাইট বার ভেঙে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গাড়িগুলো। ওই এলাকায় কর্তব্যরত এক ট্র্যাফিক পুলিশের কথায়, উড়ালপুলে ওঠার মুখে পর্যাপ্ত আলো লাগাতে হবে। কারণ অনেক সময়ে চালক অন্ধকারে ওই হাইট বার দেখতে পান না। সেই সঙ্গে বড় গাড়ি উড়ালপুলে না উঠে কোন দিকে যাবে, তার নির্দেশিকা থাকা দরকার।
উড়ালপুলের দু’দিকেই হাইট বার থাকা খুব জরুরি বলে মনে করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মন্ত্রী বলেন, ‘‘শহরের এই গুরুত্বপূর্ণ উড়ালপুলে সারাদিন প্রচুর গাড়ি যাতায়াত করে। এর উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাইট্সকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন করে হাইট বার লাগানোর পরে আর যেন এটি কোনও ভাবেই ভেঙে না যায়, সে ব্যপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy