ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেনসিক দলও নিজস্ব চিত্র।
বেহালায় আবাসনে মা ও ছেলের খুনের ঘটনায় তদন্ত শুরু করল হোমিসাইড শাখা। ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে তপন মণ্ডল ও সুস্মিতা মণ্ডলের ব্যাঙ্কের নথি। জেরা করা হচ্ছে কেবল অপারেটরকে। ওই আবাসনে সিসিটিভি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল কেবল অপারেটরের উপর। কিন্তু ঘটনার দিন খারাপ ছিল সিসিটিভি। ক্যামেরা কেউ ইচ্ছা করে খারাপ করেছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আবাসনের প্রধান দরজায় তালা দেওয়া থাকে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সেই দরজা পেরিয়ে আততায়ী কী ভাবে তিন তলায় গেল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সোমবার রাতে বেহালায় আবাসনে সুস্মিতা (৪৫) ও তাঁর ছেলে তমোজিতের (১৩) দেহ উদ্ধারের পর থেকে তপন এবং আবাসনের একাধিক বাসিন্দাকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, প্রাথমিক অনুমান দুপুর ৩টে থেকে ৫টার মধ্যে খুন হয়েছেন দু’জন। আর দুপুর ২টো থেকে ৪টে পর্যন্ত তপনের মোবাইল বন্ধ ছিল। সেই সময় তিনি কোথায় ছিলেন তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। তপনের বয়ানেও অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ফ্ল্যাটের দরজা খোলা ছিল। অথচ তমোজিতের গৃহশিক্ষক জানিয়েছেন, তিনি পড়াতে গিয়ে দেখেন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। অনেক ডেকেও সাড়া না পেয়ে ফিরে যান তিনি। কে সত্যি কথা বলছেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, খুনের সময় তমোজিতের পরনে ছিল স্কুল ড্রেস। দেখে মনে হচ্ছে অনলাইন ক্লাস করছিল সে। কিন্তু যে মোবাইল থেকে সে ক্লাস করছিল সেই মোবাইল ও একটি ল্যাপটপ উধাও বলে জানিয়েছে পুলিশ। তমোজিতের স্কুলে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, অনলাইন ক্লাস শেষ হওয়ার বেশ কিছুক্ষণ আগেই অফলাইন হয়ে যায় সে। সেই সময় বাড়ির ভিতরে কেউ ছিল কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, বেহুঁশ করার আগেই খুন করা হয়েছে দু’জনকে। সুস্মিতাকে ২০ বার ও তমোজিৎকে ৫ বার আঘাত করা হয়েছে। তপনের আংটিতে রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেনসিক দল। সেই নমুনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy