প্রবল বৃষ্টিতে চারতলা বাড়ি ধসে মৃত্যু হল ৮০ বছরের এক বৃদ্ধার। সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকুরিয়ার অঞ্চলের গড়িয়াহাট রোডের একটি বহুতলে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম কমলা চট্টোপাধ্যায়। গুরুতর আহত হয়েছেন সুনীতা দেবী সাহু নামের বছর পঞ্চাশের আরও এক বৃদ্ধা। সুনীতা দেবীকে ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে লেক গার্ডেন্স থানার পুলিশ-সহ বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ও দমকলের একটি ইঞ্জিন। তবে ধ্বংসস্তূপের নীচে আর কেউ আটকে নেই বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।
এ দিন প্যাচপ্যাচে গরমের পর বিকেলের দিকে শহর জুড়ে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। সে সময়ই ছাদ থেকে ধসে পড়তে শুরু করে বাড়িটি। চারতলা ওই বহুতলের প্রতিটি ফ্লোরে ছিল ছ’টি করে ঘর। তবে এই আবাসনটি খুবই জীর্ণ হয়ে পড়ায় সেখান থেকে ইতিমধ্যেই অন্যত্র সরে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকটি পরিবার। এই মুহূর্তে সর্বসাকুল্যে সেখানে বাস করেন ১০-১২টি পরিবার। কমলা দেবী থাকতেন একেবারে ওপরের তলায়। এ দিন বিকেলের দিকে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। সে সময়ই ছাদ ভেঙে পড়ে তাঁর মাথায়। দেখতে দেখতে ভেঙে পড়ে আবাসনটির ডান দিকের গোটাটাই।
স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, ঢাকুরিয়ার এই কেআইটি বিল্ডিংগুলো তৈরি হয়েছিল ১৯৬৫ থেকে ’৭০ সালের মধ্যে। তার পর নব্বইয়ের দশকে সেগুলি ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেওয়ায় হয়েছিল বাসিন্দাদের। কিন্তু এর পর থেকে বাসিন্দারা আর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেননি ৩০ বছরের পুরনো এই আবাসনের। ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই আবাসনগুলির আবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক।
এ দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং ববি হাকিম বলেন, এই আবাসনগুলির মালিকানা এখন ব্যক্তিগত। মতভেদের ফলে যদি নিজেদের বাড়ির দিকেই তাঁরা নজর না দেয় তা হলে সেখানে সরকার কী করতে পারে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy