ফাইল চিত্র।
আধার কার্ডের সঙ্গে রেশন কার্ডের সংযুক্তি বা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের কাজ ঠিকমতো এগোয়নি হাওড়ায়। নবান্নের নির্দেশে এই দুই প্রকল্পে গতি আনতে এ বার একযোগে কাজ শুরু করছে হাওড়া পুরসভা ও জেলা প্রশাসন। বুধবার জেলাশাসক মুক্তা আর্য-সহ জেলা প্রশাসনের কর্তারা হাওড়া পুরসভায় এসে চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তীর সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, আগের নির্দেশ অনুযায়ী, লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা পেতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। ফলে যাঁদের এখনও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হয়নি, তাঁদের লক্ষ্মীর ভান্ডারের আবেদনপত্র পড়ে রয়েছে। সেই সংখ্যা কয়েক হাজার। কিন্তু পরবর্তীকালে সেই শর্ত তুলে নেয় সরকার। ফলে ওই গ্রহীতাদের লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা পেতে আর বাধা নেই।
অন্য দিকে, হাওড়া পুর এলাকার বহু রেশন দোকান আধারের সঙ্গে রেশন কার্ডের সংযুক্তি ঘটাচ্ছে না। পুর এলাকায় ২৩৩টি রেশন দোকান রয়েছে। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, সেখানে আধার-রেশন কার্ড সংযুক্তিকরণের কাজ ঠিক মতো হচ্ছে কি না, তা দেখবেন পুরসভা-নিযুক্ত কর্মীরা। জেলা প্রশাসনের অন্দরের খবর, রেশন কার্ড ও আধার কার্ড সংযুক্ত করা হলে রেশনের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসতে পারে, সেই আশঙ্কায় অনেক দোকানই তা করতে চাইছে না। সমস্যা মেটাতে পুরসভা ও জেলাশাসকের দফতরের এক জন আধিকারিক বিষয়টিতে নজরদারি চালাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy