Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

স্ত্রীকে খুনে যাবজ্জীবন

নাবালিকা মেয়ের সাক্ষ্যে খুনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাবাস হল বাবার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৬ ০৫:৪১
Share: Save:

নাবালিকা মেয়ের সাক্ষ্যে খুনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাবাস হল বাবার।

ট্যাংরার গোবিন্দ খটিক রোডের বাসিন্দা প্রবীর হালদার শুধুমাত্র সন্দেহের বশেই নিজের স্ত্রী বৃহস্পতিকে কুপিয়ে খুন করেছিল। ঘরে তখন ছিল সাত বছরের মেয়ে। তার সামনে স্ত্রীকে খুন করার পরে নিজেই ট্যাংরা থানায় গিয়ে হাজির
হয় প্রবীর। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ সূত্রের খবর, প্রায় আট বছর ধরে চলা বিচার পর্বে জেলেই ছিল অভিযুক্ত। স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত প্রবীর হালদারকে বুধবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন শিয়ালদহ আদালতের প্রথম অতিরিক্ত জেলা বিচারক সঞ্জীবকুমার শর্মা। মঙ্গলবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন বিচারক। বুধবার রায় ঘোষণার পরেই আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়ে প্রবীর।

পুলিশ জানায়, ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি বাড়িতে ঢুকে স্ত্রী বৃহস্পতিকে খুন করেছিল প্রবীর। মাকে মারতে দেখে বাবাকে বাধা দিয়েছিল সাত বছরের মেয়ে। অভিযোগ, প্রবীর তাকে লাথি মেরে ঘরের বাইরে ফেলে দেয়। পরে সে ঘরের এক দিকে লুকিয়ে পড়ে।

পুলিশ সূত্রের খবর, ট্যাংরা থানার তৎকালীন সাব-ইনস্পেক্টর শান্তনু সিংহ বিশ্বাস তদন্তে নেমে জানতে পারেন প্রবীর এবং বৃহস্পতির ওই নাবালিকা মেয়ের উপস্থিতির কথা। ওই দম্পতির এক ছেলেও রয়েছে। মেয়ের সামনেই ওই ঘটনা ঘটায় তাকে মূল সাক্ষী হিসেবে আদালতে পেশ করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, বিচার চলাকালীন প্রথমে শিয়ালদহ আদালতে গোপন জবানবন্দী দেয় মেয়েটি। পরে আদালতে বাবার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যও দেয় সে। পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ থেকে তদন্তকারী অফিসার জানতে পারেন, অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে স্ত্রীর, এমন সন্দেহের বশেই তাঁকে খুন করে প্রবীর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

life term murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE