E-Paper

আলিপুর থানার বর্ধিত পরিসরে নতুন পুলিশ ফাঁড়ির ভাবনা

অরফ্যানগঞ্জ, খিদিরপুর বাজার, ফ্যান্সি মার্কেট, মনসাতলা লেন, একবালপুর রোড, ইব্রাহিম রোড, এম এম আলি রোডের মতো অংশ থেকে চলে এসেছিল আলিপুর থানার অধীনে।

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:১১

—প্রতীকী চিত্র।

বন্দর এলাকার একবালপুর এবং ওয়াটগঞ্জ থানার বড় অংশকে সম্প্রতি দক্ষিণ ডিভিশনের আলিপুর থানার আওতায় আনা হয়েছে। এর ফলে বৃদ্ধি পেয়েছে আলিপুর থানার আওতাধীন এলাকা। নতুন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা থেকে নাগরিকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে একটি পুলিশ ফাঁড়ি বা আউটপোস্ট বানাতে চাইছে লালবাজার। সূত্রের খবর, এখনও প্রস্তাব সবুজ সঙ্কেত না পেলেও প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, নতুন ওই এলাকার জন্য আলিপুর থানার অধীনে কাজ করবে সংশ্লিষ্ট পুলিশ ফাঁড়ি। সেখানে থাকার কথা রয়েছে একাধিক অফিসার-সহ বিরাট বাহিনীর।

নভেম্বরের গোড়ায় লালবাজারের একটি নির্দেশ অনুযায়ী একবালপুর থানা ও ওয়াটগঞ্জ থানার বড় অংশকে দক্ষিণ ডিভিশনের আলিপুর থানার অধীনে আনা হয়। ফলে অরফ্যানগঞ্জ, খিদিরপুর বাজার, ফ্যান্সি মার্কেট, মনসাতলা লেন, একবালপুর রোড, ইব্রাহিম রোড, এম এম আলি রোডের মতো অংশ থেকে চলে এসেছে আলিপুর থানার অধীনে। পাশাপাশি, আলিপুর চিড়িয়াখানা, তিনটি বড় বেসরকারি স্কুল-সহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু এলাকার নিরাপত্তাও সামলাতে হচ্ছে ওই থানাকে। শুধু তা-ই নয়, লালবাজারের ওই নির্দেশের জেরে বর্তমানে একবালপুর থানা ভবনও এখন আলিপুর থানার মধ্যে পড়ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, আলিপুর থানার সীমানা বৃদ্ধির ফলে এলাকার পরিসর বেড়েছে। অন্য দিকে, আলিপুর থানা থেকে ভূকৈলাস রোডের এক প্রান্ত কিংবা খিদিরপুরের দূরত্ব অনেকটাই। পুলিশের একাংশের দাবি, এর ফলে এলাকায় সুষ্ঠু পুলিশি ব্যবস্থা বজায় রাখতে প্রয়োজন একটি পুলিশ ফাঁড়ির, যারা আলিপুর থানার অধীনে কাজ করবে। প্রসঙ্গত, আলিপুর থানা এলাকাতেই রয়েছে ভবানী ভবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিস, আলিপুর আদালত। মুখ্যমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপি ওই থানা এলাকা দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। মূলত সেই কারণেই নতুন এলাকার জন্য পুলিশ ফাঁড়ি তৈরির ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে লালবাজারের অন্দরে। সেই ফাঁড়িতে অতিরিক্ত ছ’জন অফিসার ছাড়াও বিরাট বাহিনী থাকার কথা। তবে এক পুলিশকর্তা জানান, আপাতত পুরো বিষয়টাই আলোচনার স্তরে রয়েছে। কোনও কিছু চূূড়ান্ত হয়নি।

লালবাজারের সাম্প্রতিক ওই নির্দেশনামায় ভারতীয় জাদুঘর, সদর স্ট্রিট, লিন্ডসে স্ট্রিট, কিড স্ট্রিটের মতো এলাকার বড় একটি অংশকেও নিউ মার্কেট থানা থেকে পার্ক স্ট্রিট থানার অধীনে পাঠানো হয়েছে। নিউ মার্কেট থানার প্রায় ৬০০ বর্গমিটার এলাকা পার্ক স্ট্রিট থানার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে ওই নির্দেশে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Police Stations Alipore

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy