দু’দিনে প্রচুর নগদ টাকা ধরা পড়ল কলকাতা বিমানবন্দরে। শনিবার রাতে প্রায় ৩৭ লক্ষ ভারতীয় টাকা এবং রবিবার রাতে ৮০ লক্ষ টাকা মূল্যের মার্কিন ডলার। বেআইনি ভাবে এত টাকা বিদেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করেছেন শুল্ক অফিসাররা।
দিন দুই আগেই হাওড়া স্টেশন এবং সদর স্ট্রিটের একটি হোটেল থেকে প্রচুর সোনা বাজেয়াপ্ত করেছিলেন শুল্ক দফতরের গোয়েন্দা বিভাগ ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্স-এর (ডিআরআই) অফিসারেরা। তখনই তাঁদের সন্দেহ হয়েছিল, প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের ওই সোনা হাওয়ালার টাকায় কেনা হয়েছে। আর এ বার বিমানবন্দরে হাওয়ালার নগদই ধরা পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।
শুল্ক বিভাগ সূত্রের খবর, শনিবার রাতে স্পাইসজেটের উড়ানে ব্যাঙ্কক যাওয়ার কথা ছিল রাজস্থানের বাসিন্দা ভাওদীপ জঙ্গ রাণা ও দিল্লির বাসিন্দা অবতার সিংহের। তাঁদের স্যুটকেস এক্স-রে করার সময়ে লুকোনো খাপে নতুন দু’হাজার টাকার নোটে প্রচুর টাকার হদিস মেলে। শুল্ক অফিসারদের দাবি, টাকার উৎস সম্পর্কে কোনও সদুত্তর বা কাগজপত্র দেখাতে পারেননি ভাওদীপ এবং অবতার। রবিবার রাতে স্পাইসজেটের উড়ানেই ব্যাঙ্কক যাওয়ার পথে মহারাষ্ট্রের উল্লাসনগরের বাসিন্দা বিজয় কুমার সুন্দরানির ব্যাগ এক্স-রে করে মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার ডলার পাওয়া যায়। তিনিও ব্যাগের ভিতরে আলাদা খাপ করে লুকিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ডলার।
শুল্ক অফিসারদের ধারণা, এত টাকা বিদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল হাওয়ালার কারণেই। তাঁরা জানিয়েছেন, নোট বাতিলের পর মাস দুয়েক হাওয়ালা কারবার বন্ধ ছিল। ইদানীং আবার কোটি কোটি কালো টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। সেই টাকায় মূলত সোনা কিনে পাঠানো হচ্ছে ভারতে। এক অফিসারের কথায়, ‘‘হাওয়ালার নতুন সংযোজন হল ভারতীয় টাকা মার্কিন মুদ্রায় বদলে নিয়ে যাওয়া।’’ পাশাপাশি, এখন দিল্লি-মুম্বই বিমানবন্দরে কড়াকড়ি হওয়ায় অনেকেই ব্যাঙ্কক যেতে কলকাতাকে বেছে নিচ্ছেন।
নিয়ম বলছে, যে কোনও ভারতীয় বিদেশ যাওয়ার সময়ে সঙ্গে ৩ হাজার মার্কিন ডলার বা সমমূল্যের বিদেশি মুদ্রা এবং নগদ ২৫ হাজার ভারতীয় টাকা সঙ্গে রাখতে পারবেন। কিন্তু বিদেশি মুদ্রা বা টাকার অঙ্ক তার বেশি হলেই কাগজ দেখানো বাধ্যতামূলক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy