পুলিশের জালে বিরাট অনলাইনে সাট্টা এজেন্সির তিন চাঁই। নিজস্ব ছবি
প্রেমের ফাঁদ পেতে মাসের পর মাস ধরে বেসরকারি ব্যাঙ্কের এক আধিকারিককে প্রতারণা করছিল এক যুবক। শেষ পর্যন্ত প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে প্রতারক প্রেমিকের হদিশ পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই তরুণী। সেই প্রতারককে ধরতে গিয়েই আন্তঃরাজ্য সাট্টা চক্রের হদিশ পেল কলকাতা পুলিশের নিউ আলিপুর থানার আধিকারিকরা।
এ মাসেই ১৮ তারিখ বেনারসের বাসিন্দা প্রিয়া দুসিয়া নিউআলিপুর থানায় অভিযোগ জানাতে আসেন। পেশায় একটি বারানসীর একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের আধিকারিক প্রিয়া পুলিশকে জানান, ২০১৭ সালে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় হেমন্ত কুমার মৌর্য নামে এক যুবকের। সেও বারানসীর বাসিন্দা। কর্মসূত্রে থাকতেন কলকাতায়। নিউ আলিপুর এলাকারই একটি মেসে থাকতেন হেমন্ত। প্রিয়া একাধিকবার কলকাতায় এসে দেখাও করে গিয়েছেন হেমন্তর সঙ্গে।
আরও পড়ুন: ৩০ বছর হর্ন বাজাননি কৈলাস, লড়াইয়ে পাশে কলকাতা পুলিশও
আরও পড়ুন: হেয়ার স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের প্রতিশ্রুতিতে উঠল অবরোধ
সেই সূত্র ধরেই প্রিয়ার বাড়িতেও জানতে পারে ওই সম্পর্কের কথা। প্রিয়ার বাড়ির থেকে হেমন্তকে বিয়ের কথাও বলা হয়। প্রিয়া জানান পুলিশকে, ইতিমধ্যে প্রিয়ার কাছ থেকে বেশ কয়েক দফায় প্রায় পাঁচ লাখ টাকা নেয় হেমন্ত। তবে কখনওই সে নগদে টাকা নেয়নি। প্রিয়া জানিয়েছেন পুলিশকে যে, দু’টি অ্যাকাউন্ট নম্বর দিত হেমন্ত। সেই নম্বরে টাকা ট্রান্সফার করা হত।
এর মধ্যে বার বার বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার পরও টালবাহনা করতে থাকে হেমন্ত। অভিযোগ বার বার প্রশ্ন করা সত্বেও নিজের ঠিকানা বা বাড়ির ব্যাপারে কোনও তথ্য দেয়না হেমন্ত। সেখান থেকেই সন্দেহ হয় প্রিয়ার এবং তিনি ওই সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৯ সালের প্রথম দিকে তিনি হেমন্তর কাছে থেকে টাকা ফেরত চান। প্রিয়ার অভিযোগ, টাকা ফেরত চাওয়ার পরই প্রিয়ার সঙ্গে সমস্ত যোগোযোগ বন্ধ করে দেয় হেমন্ত।
নিউআলিপুর থানার এক আধিকারিক বলেন,‘‘ঘটনাটি কলকাতায় ঘটেনি। অভিযুক্ত বা অভিযোগকারীনা কেউই কলকাতা পুলিশ এলাকার নন। আমরা অভিযোগটি নাও নিতে পারতাম। কিন্তু আমরা ওই তরুণীর দুর্দশার কথা ভেবে আমরা তদন্তে শুরু করি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy