গাড়ির যাতায়াতে সুবিধার জন্য যশোর রোডের বিমানবন্দর থেকে বনগাঁ পর্যন্ত অংশের চওড়া করার কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই বিমানবন্দর থেকে দোলতলার আগে পর্যন্ত চার লেন হয়েছে। অভিযোগ, নির্মাণসামগ্রী ও গাড়ি পার্কিং করতে ব্যবহার করা হচ্ছে সেই নতুন রাস্তা। ফলে যশোর রোডের যান-যন্ত্রণা থেকে রেহাই দূর অস্ত্।
বিরাটির গৌরীপুরে কালিবাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, রাস্তার উপরে রয়েছে ইট-বালি-পাথরকুচি-মার্বেল। পাশেই রাখা গাড়ি ও ট্যাক্সি। ফুটপাথের নতুন টালিতেও ইট-বালির স্তূপ। এর ঠিক উল্টো দিকে ট্র্যাফিক পোস্ট।
স্থানীয়দের কথায়, যাঁরা ইমারতির ব্যবসা করেন তাঁরাই এ ভাবে রাস্তায় নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখেন। ওই ব্যবসায়ীদের একাংশের বক্তব্য, ‘‘রাস্তার কাজ শেষ হয়নি। তাই রাখছি। পাশ দিয়ে গাড়ি যেতে তো সমস্যা হচ্ছে না!’’ স্থানীয় বাসিন্দা সুব্রত বালা বলেন, ‘‘মাঝরাস্তা দিয়ে বড় গাড়ি যায় বলে এই বাই লেন দিয়ে মোটরবাইক নিয়ে যাতায়াত করছি। যে ভাবে বালি, পাথর পড়ে থাকে তাতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা তো থাকেই।’’
গৌরীপুর থেকে গঙ্গানগর কাটাখাল পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে রয়েছে অসংখ্য গ্যারাজ। সেই গ্যারাজের গাড়ি রাখা থাকে রাস্তাতেই। সেখানেই চলে গাড়ি মেরামতি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এ সবের জন্যই কমছে না যানজট। বারাসত থেকে বিমানবন্দর ১ নম্বর গেট পর্যন্ত নয় কিলোমিটার পেরোতে লাগে এক ঘণ্টার বেশি। সেই সমস্যা মেটাতেই রাস্তা চওড়ার কাজ চলছে। শুরু হয়েছে মধ্যমগ্রাম আন্ডারপাসের কাজ। এই রাস্তার উপরে ৫টি রেল সেতুর উপরে তৈরি হবে উড়ালপুলও।
স্থানীয়দের দাবি, রাস্তা চওড়া ও আন্ডারপাস করার পাশাপাশি নজর দিতে হবে রাস্তা থেকে দখলদার উচ্ছেদ ও যান নিয়ন্ত্রণে। তাঁদের অভিযোগ, যশোর রোডে একই লেন দিয়ে বিনা বাধায় চলে টোটো-অটো-রিকশা। দুর্ঘটনাও ঘটে প্রায়ই। এর মধ্যে নতুন রাস্তা দখল হলে যানজট বাড়বে।
রাস্তার উপরে জবরদখল এবং বেআইনি পার্কিং রুখতে নিয়মিত নজরদারি চালানো হয় বলে জানান উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘তা সত্ত্বেও কোথাও কোথাও বেআইনি পার্কিং ও জবরদখল হচ্ছে বলে অভিযোগ আসছে। প্রয়োজনে আইনের সাহায্য নিয়ে এগোনো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy