কলকাতার আশেপাশে তিন পুরসভায় চব্বিশ ঘন্টায় ডেঙ্গিতে মৃত্যু হল তিন জনের। মৃতেরা বিধাননগর পুর নিগম, দক্ষিণ দমদম পুরসভা ও হাওড়া পুর এলাকার বসিন্দা।
সোমবার বিধাননগর পুর নিগমের স্বামীজি নগরের বাসিন্দা বিজু দাস (৩১) এনআরএসে মারা গিয়েছেন। বাগুইআটির সিভিক পুলিশের কর্মী বিজু ৬ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন বলে সরকারি সূত্রের খবর। আত্মীয়েরা জানান, বিজু বেলেঘাটার আইডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আইডিতে থাকার সময় ডেঙ্গি ধরা পড়ে। সোমবার দুপুরে এনআরএসে বিজুকে পাঠানো হয়। সেখানেই তিনি মারা যান।
৬ সেপ্টেম্বর স্বামীজি নগরের কাছেই কাছেই ২১ নম্বর ওয়ার্ডের জ্যোতিনগরে শঙ্করী বিশ্বাস নামে এক মহিলা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। বিজুকে ধরে সোমবার পর্যন্ত বিধাননগর এলাকায় ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৭।
বিধাননগরের থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই হাওড়া পুরসভাও। রবিবার আন্দুলে ডেঙ্গিতে শেখ মুমতাজ (৩৬) নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। সাউথ হাওড়া জেনারেল হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। শুক্রবার জৈন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। রবিবার তিনি সেখানে মারা যান। এই নিয়ে হাওড়া পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গিতে মোট ৪ জনের মৃত্যু হল।
ডেঙ্গি আক্রান্তের হিসেবে দক্ষিণ দমদম পুরসভা রাজ্যের প্রথম সারিতে রয়েছে। রবিবার দমদম পুর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে মলয় পাড়ুই (১৯) নামে এক ছাত্রের। ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত মলয় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনা জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বৈঠকে ঘোষণা করা হয়েছিল জেলার সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকাতেই। মলয়কে নিয়ে ওই পুরসভা এলাকায় ছ’জনের মৃত্যু হল।
যদিও দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) গোপা পাণ্ডে বলেন, ‘‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে রবিবারের ঘটনাটি ডেঙ্গি কিনা তা খতিয়ে দেখতে পুরসভার লোক ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু এ দিন কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার তা পাওয়া গেলেই মন্তব্য করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy