বিধাননগর পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
রাস্তার মতো আলোরও বেহাল দশা বিধাননগরে, এমনই অভিযোগ উঠেছে।
বিধাননগর পুরসভার, বিশেষত রাজারহাট এলাকার অনেক জায়গা সন্ধ্যার পরে আঁধারে ডুবে থাকছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরপ্রতিনিধিদের জানিয়েও হাল ফিরছে না। পুরপ্রতিনিধিদের পাল্টা দাবি, বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষকে রাস্তায় আলোর জন্য লেখালিখি করেও লাভ হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার পুর বোর্ডের বৈঠকে ক্ষোভ উগরে দেন বিধাননগর পুরসভার রাজারহাট অঞ্চলের আলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ সুজিত মণ্ডল। পুরসভা সূত্রের খবর, ক্ষুব্ধ সুজিত বৈঠকে জানান, পুরপ্রতিনিধি হওয়া সত্ত্বেও এলাকায় প্রয়োজনীয় আলো লাগাতে পারছেন না তিনি। তাই দফতর তুলে দিতে এবং তাঁকেও দায়িত্বে না রাখতে বলেন।
উল্লেখ্য, একই পুরসভার অধীনে হলেও সল্টলেক এবং রাজারহাটে আলোর দায়িত্বে রয়েছেন দু’জন। বিধাননগর ছাড়া আর কোনও পুরসভায় একটি দফতর এমন দ্বিধাবিভক্ত অবস্থায় নেই। সল্টলেকের আলো দেখেন মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, রাজারহাটের দিকে আলোর দায়িত্বে সুজিত। সুজিতের কাছে বৃহস্পতিবার এ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করেন যে, দীর্ঘদিন ধরে রাজারহাটের জনগণের দাবি মেনে আলো বসাতে না পারায় তিনি বোর্ডের বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সুজিত বলেন, ‘‘আমি জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি। অনেক এলাকা থেকেই রাস্তায় আলো লাগানোর দাবি উঠছে। কিন্তু কিছুই করতে পারছি না। তাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছি। তবে মেয়র আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন, সমস্যার সমাধান হবে।’’
শুধু সুজিতই নয়, আরও দু’-তিন জন পুরপ্রতিনিধি বুধবার বোর্ডের বৈঠকে আলোর সমস্যা জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, রাজারহাটে যেমন বাগুইআটি, হলদিরাম, চিনার পার্কের মতো ঝাঁ-চকচকে জায়গা রয়েছে, তেমনই নারায়ণপুর, গাঁতি, জগৎপুর, জ্যাংড়া, হেলাবটতলা, হাতিয়াড়া, জ্যোতিনগর, প্রমোদগড়ের মতো প্রান্তিক এলাকাও রয়েছে। সেই সব জায়গায় নিম্নবিত্ত মানুষের বসবাসই বেশি। তবে প্রোমোটিংয়ের বাড়বাড়ন্ত ঘিরে নতুন বসতিও তৈরি হয়েছে।
স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, বড় রাস্তায় আলোর সমস্যা ততটা না থাকলেও পাড়ার ভিতরে অনেক জায়গায় আলোর অবস্থা খুব খারাপ। কোথাও বিদ্যুতের খুঁটি আছে, কিন্তু আলো নেই। কোথাও আবার আলো থাকলেও তা খারাপ বহু দিন ধরে। কোনও কোনও এলাকায় আবার আলো লাগানোর ব্যবস্থাই নেই। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রাজারহাট-সহ পুর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে এলইডি আলো লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু সরকারি জটিলতার কারণে দেরি হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy