Advertisement
০৫ মে ২০২৪

রাস্তায় প্রস্রাব বন্ধে বাগান

সুলভ শৌচালয় রয়েছে। কিন্তু তার পাশেই ফুটপাথে তৈরি হয়েছে গণশৌচালয়। দুর্গন্ধে পাশ দিয়ে হাঁটা যায় না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। সমস্যার সুরাহা চেয়ে পথচারী এবং বাসিন্দারা কলকাতা পুরসভার কাছে অভিযোগও জানিয়েছেন।

পাশেই শৌচালয়। অথচ উদয়শঙ্কর সরণির এই ফুটপাথে অবাধে চলছে প্রস্রাব। এখানেই বাগান তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। — শশাঙ্ক মণ্ডল

পাশেই শৌচালয়। অথচ উদয়শঙ্কর সরণির এই ফুটপাথে অবাধে চলছে প্রস্রাব। এখানেই বাগান তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। — শশাঙ্ক মণ্ডল

দেবাশিস দাস
শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৬ ০০:০০
Share: Save:

সুলভ শৌচালয় রয়েছে। কিন্তু তার পাশেই ফুটপাথে তৈরি হয়েছে গণশৌচালয়। দুর্গন্ধে পাশ দিয়ে হাঁটা যায় না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। সমস্যার সুরাহা চেয়ে পথচারী এবং বাসিন্দারা কলকাতা পুরসভার কাছে অভিযোগও জানিয়েছেন। পুরসভার তরফ থেকে বারবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু গল্ফগ্রিনের উদয়শঙ্কর সরণির ১৭এ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ফুটপাথের চেহারাটা বদলায়নি একটুও। তাই এ বার ওখানে বাগান তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। এই জায়গাটি পুরসভার ১০ নম্বর বরোর ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের অর্ন্তগত।

এখন ওই জায়গায় ১৭এ বাসটি না দাঁড়ালেও জায়গাটি ওই নামেই পরিচিত এলাকাবাসীর কাছে। তবে ওই রাস্তাতেই রয়েছে ২২৩, ২৩৪, ২৪০ এবং গল্ফগ্রিন-হাওড়া রুটের মিনিবাসের স্ট্যান্ড এবং একটি অটোস্ট্যান্ড। ফলে সারা দিন রাস্তাটিতে অনবরত গাড়ি এবং পথচারীর চাপ থাকে।

উদয়শঙ্কর সরণি দিয়েই নিয়মিত ২৩৪ নম্বর বাস ধরে বেকবাগানের অফিসে যান বিজয়গড়ের বাসিন্দা সমীর রায়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘১৭এ বাসস্ট্যান্ডের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে দুর্গন্ধে হাঁটা যায় না। পাশেই একটি সুলভ শৌচালয় রয়েছে। অথচ বহু মানুষকে দেখি তা ব্যবহার না করে বাইরেই প্রাকৃতিক কাজ সারতে।’’ একই অভিযোগ ওই এলাকার অন্য বাসিন্দাদেরও। এলাকার বাসিন্দা সমীরণ পালের কথায়, ‘‘সমস্যা দীর্ঘ দিনের। সুরাহার জন্য পুরসভা একটি সুলভ শৌচালয় তৈরি করলেও লাভ হয়নি কিছুই।’’

বরো সূত্রে খবর, বিষয়টি সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাবের জন্য হচ্ছে। সাধারণকে সচেতন করতে ওখানে প্রস্রাব করা বন্ধের অনুরোধ করে এবং পাশের শৌচালয় ব্যবহারের আর্জিও জানানো হয়েছিল। নিয়মিত পরিষ্কার করে ব্লিচিং ছড়ানো হয়। একশো দিনের কর্মী নিয়োগ করে নজরদারির ব্যবস্থাও হয়েছিল। তার পরেও ওই জায়গায় প্রস্রাব বন্ধ করা যায়নি।

তবে দশ নম্বর বরো সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও উপায় না পেয়ে এ বার উদয়শঙ্কর সরণির ১৭এ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সুলভ শৌচালয়ের পাশের ফাঁকা জায়াগায় বাগান তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছেন বরো কর্তৃপক্ষ। এই বাগান গড়তে পুরসভার ব্যয় হবে সাড়ে চার লক্ষ টাকা। পুরো অর্থই বরাদ্দ করা হয়েছে ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের এলাকা উন্নয়নের তহবিল থেকে।

১০ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান এবং ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘কাউন্সিলর তহবিলের অর্থে ১৭এ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জায়গাটির সৌন্দর্যায়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে। বাহারি গাছ, আলো আর সুন্দর রেলিং দিয়ে জায়গাটিকে ঘিরে দেওয়া হবে।’’

কিন্তু বাগান তৈরি করে কী বন্ধ করা যাবে সাধারণ মানুষের এই প্রবণতা? তপনবাবুর বক্তব্য, ‘‘একাধিক উপায়ে এই প্রবণতা বন্ধের জন্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু কাজ হয়নি। এ বার তাই সৌন্দর্যায়ন করে রোখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Toilet Rules
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE