গণবিবাহের আয়োজনে দাম্পত্য জীবনের স্বাদ পেয়েছেন অনেকেই। কিন্তু তাঁরা কি সবাই ভাল আছেন? সুখে আছেন? সকলেই কি আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল? খবর নিতে এ বার উদ্যোগী হয়েছেন এক প্রাক্তন মন্ত্রী। আগামী বুধবার, ৩১ মে, ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজার এলাকায় সেই খবর নেওয়ার অভিনব অনুষ্ঠান— ‘গণজামাইষষ্ঠী’। সেখানে নব বিবাহিত দম্পতিদের আশীর্বাদ করবেন সেই প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। শুকনো আশীর্বাদ নয়, সঙ্গে থাকছে ভোজ ও উপহারের ব্যবস্থাও।
অনুষ্ঠানের আয়োজক ‘ভবানীপুর ইউনাইটেড ইউথ ফোরাম’ এবং ‘দেশপ্রেমিক ক্লাব সংহতি’র দাবি, এমন উদ্যোগ বাংলায় প্রথম। গত বছর বেলগাছিয়ার পাতিপুকুরে এবং টালা পার্কে গণবিবাহ ‘আলোয় ফেরা’র আয়োজন হয়েছিল। ক’দিন আগে বেলঘরিয়াতেও গণবিবাহ হয়েছে। মদন মিত্র জানান, মঙ্গলবারের গণজামাইষষ্ঠী অনুষ্ঠানে তিনি ওই বিবাহিতেরা কেমন আছেন জানতে চাইবেন। তাঁর কথায়, ‘‘বিয়ে তো হল। তার পরে সুখে আছে তো? সংসার চালাতে পারছে তো? আসলে সেটারই খোঁজ নিতে চাইছি।’’ প্রয়োজনে নতুন জামাইদের কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থাও তিনি করবেন। তাঁর কথায়, ‘‘ছেলেদের নিজস্ব ব্যবসার কথা ভেবেছি। মেয়েদের সেলাই মেশিন দেওয়া যেতে পারে। অনুষ্ঠানে সব দেখেশুনে তার পরে ঠিক করব।’’
এই অনুষ্ঠানে অনেকেই উৎসাহ দেখিয়েছেন বলে জানান ইউনাইটেড ইউথ ফোরামের শম্ভুনাথ দে। তাঁর দাবি, ‘‘প্রচুর ফোন আসছে নব বিবাহিতদের।’’ অনেকের বাড়িতেই জামাইষষ্ঠী পালনের সুযোগ থাকে না। তাঁদের জন্যই এই আয়োজন।
রাজনৈতিক মহলে অবশ্য গুঞ্জন, জামিন পাওয়ার পর থেকে কামারহাটিতে রাজনৈতিক কার্যকলাপ বাড়াতে শুরু করেছেন মদন মিত্র।
এ বার তাঁর পুরনো এলাকা ভবানীপুরেও রাজনৈতিক কাজকর্মের পরিধি বাড়াতে চাইছেন। মদন অবশ্য জানান, এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। তাঁর কথায়, ‘‘কাজকর্ম বাড়ানোর কোনও ব্যাপার নেই। এ রকম সামাজিক অনুষ্ঠান আমরা প্রায়ই করে থাকি। এতে কোনও রাজনীতি নেই।’’ ওই দিন সঙ্গীতানুষ্ঠানও হবে। থাকবেন বলিউড সেলিব্রিটি, খেলোয়াড় এবং রাজনৈতিক নেতারাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy