ফাইল চিত্র।
কারও কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছিল হৃদ্রোগের চিকিৎসা করাতে এসে। আবার কারও হৃদ্রোগের সমস্যা ছিলই, এখন কোভিড সংক্রমিত হয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন। এমনই সাত জন করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরে পেসমেকার বসালেন এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত পর পর সাত জনের অস্ত্রোপচার চলে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের ক্যাথল্যাবে। পিজির ওই অ্যানেক্স হাসপাতালে এখন করোনা রোগীদের চিকিৎসা চলছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, সাত জনের মধ্যে এক জন মহিলা। এঁদের কয়েক জন দিনকয়েক আগে হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা নিয়ে এসএসকেএমের কার্ডিয়োলজি বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। পেসমেকার বসানোর প্রয়োজন থাকায় অস্ত্রোপচারের আগে প্রত্যেকের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাতে পজ়িটিভ আসার পরে ওই রোগীদের শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আবার কয়েক জন করোনা আক্রান্ত হয়ে অ্যানেক্স হাসপাতালে সরাসরি ভর্তি হয়েছিলেন।
এসএসকেএমের কার্ডিয়োলজি বিভাগের প্রধান শঙ্করচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়ে সরাসরি ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের আগে থেকেই হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা ছিল। তাঁদের জরুরি ভিত্তিতে পেসমেকার বসানোর ছিল, তাই অস্ত্রোপচার হয়েছে।” চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, স্থায়ী পেসমেকার বসানোর আগে পায়ে অস্থায়ী পেসমেকার বসানো হয়। সেটা দীর্ঘ দিন রাখা যায় না। সংক্রমণ ছড়ানো ছাড়াও তাতে অন্যান্য সমস্যা হতে পারে।
এ দিন শঙ্করবাবুর নেতৃত্বে চিকিৎসক গৌরাঙ্গ সরকার, শকেত, ভিজনেশ আর, পূর্ণেন্দু দাস অস্ত্রোপচারগুলি করেন। সূত্রের খবর, পিজি-র কার্ডিয়োলজি বিভাগের প্রায় ৫০ শতাংশ চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত। হাসপাতালের এক কর্তার কথায়, “যাঁরা সুস্থ রয়েছেন বা সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দিচ্ছেন, তাঁদের উপরে অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। তার মধ্যেও জরুরি ভিত্তিতে পেসমেকার বসানো হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy