রাজ্য সরকারের ব্যয় সঙ্কোচের ফলে যাদবপুরের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর দশা, এমনই আক্ষেপ করেন শিক্ষকমহলের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সব ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিভিন্ন পরীক্ষাগারের দামি যন্ত্র, সরঞ্জামের দেখাশোনাও মাথায় উঠেছে বলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (জুটা) তরফে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় মঙ্গলবার বলেন, ‘‘গবেষণার জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের যন্ত্রপাতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন টিচিং ল্যাবরেটরির সরঞ্জাম— সবেরই অবস্থা খারাপ। অনেক টাকা দিয়ে কেনা যন্ত্র অনাদরে নষ্ট হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা-খাতের প্রাপ্ত টাকাও শিক্ষক, কর্মচারীদের মাইনে দিতেই ফুরিয়ে যাচ্ছে।’’
গত বছরের শেষে বেতন দেওয়া ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার অন্য খাতে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে বলে জুটা সূত্রের খবর। এর ফলে যাদবপুর কর্তৃপক্ষ ল্যাবরেটরি পরিচালনা থেকে নানা খাতে খরচ কমাতে বাধ্য হচ্ছেন বলেও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের দাবি। এ বার মাসে মাসে শিক্ষক, কর্মচারীদের বেতনের টাকা আদায়েও কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ শোনা যাচ্ছে।
গত ডিসেম্বরের বেতনের টাকা স্থায়ী আমানত ভেঙে দিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। পরে মাসের মাঝামাঝি প্রাপ্য টাকা দেয় রাজ্য। জানুয়ারির শেষেও একই পরিস্থিতির উপক্রম। এখনও বেতনের টাকা দিতে রাজ্য সরকার নামগন্ধ করছে না বলে অভিযোগ।
যদিও উচ্চ শিক্ষা দফতরের এক শীর্ষ কর্তার দাবি, বেতনের টাকা বাকি থাকা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। জুটার তরফে ঘোষণা, শিক্ষাঙ্গনের রক্ষণাবেক্ষণ এবং ল্যাবরেটরির সরঞ্জাম রক্ষা নিয়ে শীঘ্রই তারা সভা করে পরের পদক্ষেপ ঠিক করবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)