Advertisement
E-Paper

প্রয়োজনে হস্তক্ষেপ করুন, সুরঞ্জনকে বার্তা কেশরীর

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগে ছ’টি বিষয়ে ভর্তি নিয়ে আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠী নিজে কোনও সিদ্ধান্ত নিলেন না। তবে তিনি তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, কর্মসমিতির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তা মানতে হবে উপাচার্য ও পড়ুয়াদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৮ ২১:৩৯
আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠী এবং উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।ফাইল চিত্র।

আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠী এবং উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।ফাইল চিত্র।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগে ছ’টি বিষয়ে ভর্তি নিয়ে আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠী নিজে কোনও সিদ্ধান্ত নিলেন না। তবে তিনি তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, কর্মসমিতির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তা মানতে হবে উপাচার্য ও পড়ুয়াদের। তবে এরই পাশাপাশি আচার্য জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে উপাচার্য আইন মেনে হস্তক্ষেপ করতে পারেন।

যাদবপুরের কলা বিভাগে ভর্তি বিতর্কে ইতি টানতে কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কোর্টেই বল ঠেলেছিলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। সোমবার তিনি আন্দোলনকারীদের বলেন, “উপাচার্যের চেয়ারে বসে আমি সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ। সন্ধের মধ্যে কিছু একটা পরামর্শ আসবে।”

বিকেলে রাজভবন থেকে ই-মেল মারফত উপাচার্যের কাছে পরামর্শ আসে। ভর্তি নিয়ে সুরঞ্জনবাবুর কোর্টেই কার্যত বল ফিরিয়ে দেন আচার্য। সুরঞ্জনবাবু চেয়ারে বসে সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ বলে দাবি করলেও, প্রয়োজনে তিনি হস্তক্ষেপ করতেই পারেন বলে মনে করিয়ে দেন আচার্য।

তবে, এ দিন জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর দু’টো নাগাদ কর্মসমিতির বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা। ওই দিনই স্পষ্ট হয়ে যাবে যাদবপুর কর্তৃপক্ষ কী চান? প্রবেশিকা পরীক্ষা না কি উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি। ওই দিনই স্পষ্ট হয়ে যাবে উপাচার্যের অবস্থানও।

আরও পড়ুন: জল্পনা উস্কে রাজভবনে দরবার শিক্ষামন্ত্রীর

আরও পড়ুন: যাদবপুর সঙ্কট: কেশরীর কোর্টে বল ঠেললেন সুরঞ্জন

এক জন ডিন এবং ১১ জন বিভাগীয় প্রধানের সই সমেত শিক্ষক সংগঠন জুটা উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলে আইনি পথে যেতে তারা পিছপা হবে না। এই বিতর্কের মাঝেই রাজ্যপালের প্রেস সচিব মানব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের অনশন তুলে নিতে অনুরোধ করেছেন আচার্য।” যদিও পড়ুয়ারা নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়। প্রবেশিকা না ফেরা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

পড়ুয়াদের অনশন তুলে নিতে বলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। তাঁর কথায়: “যাঁরা এ বছর পাশ করেছেন, তাঁদের ভাগ্য নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করা ঠিক নয়। অনেক পড়ুয়ার শারীরিক অবস্থা ভাল নয় শুনেছি।”

দু’দিন ধরে অনশনে সামিল হয়েছেন যাদবপুরের ২০ জন পড়ুয়া। সোমবার রাত পর্যন্ত অনশন তুলে নেওয়ার ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ইতিমধ্যেই সোমাশ্রী চৌধুরী নামে এক পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

প্রথমে ৩ থেকে ৬ জুলাই, পরে ১১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত কলাবিভাগের প্রবেশিকার দিন ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি। পরে তা প্রত্যাহার করে বলা হয়, উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতেই স্নাতকস্তরে কলাবিভাগে ভর্তি নেওয়া হবে। এর পরেই ক্ষোভ বাড়তে থাকে। আন্দোলনে নামেন পড়ুয়ারা।

Jadavpur University Keshari Nath Tripathi Suranjan Das কেশরীনাথ ত্রিপাঠী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সুরঞ্জন দাস
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy