আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা।-নিজস্ব চিত্র।
কলা বিভাগে প্রবেশিকা ফেরানোর দাবিতে উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে এখনও জটিলতা রয়েই গিয়েছে। অনশন করছেন পড়ুয়ারা। তাঁদের পাশে রয়েছেন অধ্যাপকদের একাংশ। নিন্দায় সরব শিক্ষাবিদ থেকে শুরু করে প্রাক্তনীরা। এই চাপের মুখে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস রাজ্যপাল তথা আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কোর্টেই বল ঠেললেন!
ইতিমধ্যেই যাবদপুর নিয়ে রিপোর্ট পৌঁছে গিয়েছে রাজভবনে। কলা বিভাগে প্রবেশিকা ফিরবে, নাকি নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি নেওয়া হবে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন আচার্য। আপাতত আচার্যের নির্দেশের অপেক্ষাতেই বসেযাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “এই সমস্যা থেকে বেরনোর রাস্তা খুঁজতে হবে। আমারাও চাই সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসুক। আচার্যের কাছে রিপোর্ট গিয়েছে। ওনার নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছি। আশা করছি সোমবারের মধ্যে সেই নির্দেশ চলে আসবে। কর্মসমিতির বৈঠকে একটা সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত আচার্যই নিতে পারেন।”
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাস সাক্ষাৎকারে প্রচুর চাকরি, দাবি যাদবপুরের
আরও পড়ুন: মেধা তালিকায় নাম থেকেও কলেজে ভর্তিতে ব্যর্থ, আত্মঘাতী ছাত্র
তিনি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, “অনশনের রাস্তা থেকে সরে এসে একটু সময় দেওয়া হোক।” বেশ কয়েকবার সিদ্ধান্ত বদলের পর, শেষ পর্যন্ত কলা বিভাগে নম্বরের ভিত্তিতেই ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অ্যাডমিশন কমিটি’। উপাচার্য সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, “এ বছর নম্বরের ভিত্তিতেই ভর্তি নেওয়া হবে। দেশের এমন কোনও বিশ্ববিদ্যালয় নেই, যেখানে ভর্তি প্রক্রিয়ায় পড়ুয়াদের মতামত থাকতে পারে।”
এর পরেই নতুন করে আন্দোলন শুরু হয়ে যায়। ৩০ ঘণ্টা পর উপাচার্য ঘেরাও মুক্ত হলেও, পড়ুয়ারা নিজেদের দাবি থেকে সরে আসেননি। উল্টে শিক্ষক সংগঠন জুটা তাদের পাশে দাঁড়িয়ে কর্মবিরতি করে। আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেয়। এই অবস্থায় উপাচার্য রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে যাদবপুরের পরিস্থিতি জানিয়ে ‘পদত্যাগ’-এর ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এ ভাবে কাজ চালানো যায় না বলে শিক্ষামন্ত্রীকে তাঁর মনোভাবের কথাও জানিয়ে এসেছিলেন। এ দিকে যাদবপুর নিয়ে রাজ্যপালের কাজে নিজেদের বক্তব্য জানাতে চাইছেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারাও। জুটাও ই-মেল করে সময় চেয়েছে। এখন দেখার, ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আচার্যকী সিদ্ধান্ত নেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy