E-Paper

শূন্য পদ বৃদ্ধির দাবিতে বিকাশ ভবন অভিযান নতুন চাকরিপ্রার্থীদের

আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদল বিকাশ ভবনে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেয়। তাঁদের অভিযোগ, ১৪ বছর নিয়োগ হয়নি। উপরন্তু, যাঁরা কর্মরত শিক্ষক, তাঁদের জন্য ১০ নম্বরের ব্যবস্থা করেছে এসএসসি। এটা কেন হবে?

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:২৫
চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার, সল্টলেকের করুণাময়ীর কাছে।

চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার, সল্টলেকের করুণাময়ীর কাছে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

লড়াই থেকে সরছেন না এসএসসি-র নতুন চাকরিপ্রার্থী ও চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীরা। যার জেরে বৃহস্পতিবার বিধাননগরের করুণাময়ী এলাকায় দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াল। এ দিন দুপুরে করুণাময়ী মোড় থেকে মিছিল করে বিকাশ ভবনের দিকে যাচ্ছিলেন ২০২৫-এ এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া নতুন চাকরিপ্রার্থীরা। মিছিল করুণাময়ী মোড় থেকে বিকাশ ভবনের দিকে কিছুটা এগোতেই তাঁদের পথ আটকায় পুলিশ। চাকরিপ্রার্থীদের রাস্তা থেকে সরে যেতে অনুরোধ করা হয়। শুরু হয় বচসা, ধাক্কাধাক্কি। উত্তেজনা ছড়ায়। আন্দোলনকারীদের তখন দাবি, বিকাশ ভবন কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের দাবি জানাবেন।

পরে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদল বিকাশ ভবনে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেয়। তাঁদের অভিযোগ, ১৪ বছর নিয়োগ হয়নি। উপরন্তু, যাঁরা কর্মরত শিক্ষক, তাঁদের জন্য ১০ নম্বরের ব্যবস্থা করেছে এসএসসি। এটা কেন হবে? তাঁদের মৌলিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে বলে জানান চাকরিপ্রার্থীরা। ইন্টারভিউয়ের আগেই তাঁরা অভিজ্ঞ চাকরিপ্রার্থীদের থেকে পিছিয়ে পড়বেন। নতুনদের দাবি, শূন্য পদ এক লক্ষ পর্যন্ত বাড়ানো হোক। পাশাপাশি, অভিজ্ঞ চাকরিপ্রার্থীদের ১০ নম্বর দেওয়ার নিয়ম প্রত্যাহার করতে হবে।

এ দিনই করুণাময়ী মোড় থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দিকে অভিযান করেন চাকরিহারা গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি শিক্ষাকর্মীরা। তাঁদের দাবি, যোগ্য-অযোগ্য বিভাজন করে দ্রুত যোগ্য শিক্ষাকর্মীদের কাজে ফেরাতে হবে। ‘যোগ্য গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি অধিকার মঞ্চ’-এর তরফে অমিত মণ্ডল নামে এক গ্রুপ সি কর্মী জানান, গত এপ্রিল থেকে তাঁদের বেতন বন্ধ। দ্রুত শিক্ষাকর্মীদের কাজে ফেরাতে হবে। যদি পরীক্ষা নিতে হয়, তবে দ্রুত যোগ্য-অযোগ্য বিভাজন করে তা নিতে হবে। পরীক্ষায় যদি কোনও যোগ্য শিক্ষাকর্মী পাশ না করতে পারেন, তা হলে কী ব্যবস্থা নিতে হবে, তা-ও সরকারকে জানাতে হবে। শিক্ষাকর্মীদের দাবি, চাকরিহারা শিক্ষকদের ক্ষেত্রে যেমন ‘দাগি’ চিহ্নিত করে ডিভিশন বেঞ্চে পেশ করেছিল এসএসসি, সে ভাবে শিক্ষাকর্মীদের ক্ষেত্রেও ‘দাগি’ চিহ্নিত করে ডিভিশন বেঞ্চে পেশ করেছিল এসএসসি। তাঁদের প্রশ্ন, সেই তালিকা এসএসসি কেন প্রকাশ করছে না?

শিক্ষাকর্মীদের অভিযোগ, পরীক্ষার ফর্ম পূরণ কবে শুরু হবে, তারও উত্তর নেই এসএসসি-র কাছে। পুজো উপলক্ষে মা, বাবা, স্ত্রী, ছেলে-মেয়েদের জন্য জামাকাপড় কিনতে পারেননি তাঁরা। ফলে, এ বারের দুর্গাপুজো তাঁদের কাছে বিষাদের। এক চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীর প্রশ্ন, ‘‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির ফল ভুগতে হচ্ছে আমাদের সবাইকে। আমাদের মধ্যে যোগ্যদের আর কত দিন এই যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে?’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bikash Bhavan SSC

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy