Advertisement
E-Paper

পুরসভার কারখানাতেই তৈরি হচ্ছে পলি তোলার যন্ত্র

পুরসভা সূত্রের খবর, শহরের বিভিন্ন নিকাশি নালায় জমে থাকা পলি তুলতে ‘বাকেট মেশিন’ ব্যবহার করা হয়।

কৌশিক ঘোষ

শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২০ ০৫:৩৫
পলি তোলার নতুন সেই যন্ত্র। নিজস্ব চিত্র

পলি তোলার নতুন সেই যন্ত্র। নিজস্ব চিত্র

লকডাউনের জেরে আয় কমেছে অনেকটাই। কিন্তু ব্যয়ের পরিমাণ রয়ে গিয়েছে একই। কলকাতা পুরসভার কোষাগারের হাল বর্তমানে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পুর কর্তৃপক্ষের। এ বার তাই বাইরে থেকে ভূগর্ভস্থ পলি তোলার যন্ত্র (বাকেট মেশিন) না কিনে নিজেরাই তা তৈরি করে প্রায় দু’কোটি টাকা বাঁচাল পুর নিকাশি দফতর। শুধু তা-ই নয়, গুণমানের দিক থেকেও এই যন্ত্র অনেক ভাল বলে দাবি পুরকর্তাদের। তাঁদের মতে, এই যন্ত্রের সাহায্যে পলি তোলার কাজ আরও ভাল ভাবে করা যাবে।

পুরসভা সূত্রের খবর, শহরের বিভিন্ন নিকাশি নালায় জমে থাকা পলি তুলতে ‘বাকেট মেশিন’ ব্যবহার করা হয়। ২০১৩ সালে বলবৎ হওয়া আইন অনুযায়ী, ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালায় কোনও শ্রমিককে নামিয়ে পলি তোলার কাজ নিষিদ্ধ। সেই কারণেই মোটরচালিত ‘বাকেট মেশিন’ ব্যবহার করে নিকাশি নালার মুখ পরিষ্কার রাখার ব্যবস্থা চালু হয়। পুরসভার হাতে বর্তমানে এমন ৩৬টি যন্ত্র থাকলেও ১৪৪টি ওয়ার্ডের পক্ষে তা যথেষ্ট নয় বলেই নিকাশি দফতরের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন। সেই কারণে চলতি আর্থিক বছরে প্রায় ২০০টি নতুন ‘বাকেট মেশিন’ কেনার পরিকল্পনা করেছিল পুরসভা।

পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা নিকাশি দফতরের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ তারক সিংহ বললেন, “একসঙ্গে অতগুলি ‘বাকেট মেশিন’ কিনতে হলে বিরাট অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন। তা ছাড়া, বাইরে থেকে কিনে আনা যন্ত্রের ক্ষেত্রে কাঠামো এবং প্রযুক্তিগত কিছু জটিলতা থাকে। তাই টাকা বাঁচানোর পাশাপাশি সামগ্রিক পরিস্থিতি বিচার করে পুরসভা নিজেদের কারখানাতেই এই যন্ত্র তৈরির কাজ শুরু করেছে।’’ তাঁর দাবি, হিসেব করে দেখা গিয়েছে, নিজেদের কারখানায় ২০০টি যন্ত্র তৈরি করে নিলে প্রায় দু’কোটি টাকা বাঁচাতে পারবে পুরসভা। আর যন্ত্রের উপযোগিতাও বেশি হবে।

বাইরের সংস্থার কাছ থেকে ওই যন্ত্র কেনার ক্ষেত্রে কী কী সমস্যা রয়েছে?

পুর আধিকারিকেরা জানান, বাইরের সংস্থা যে যন্ত্র পুরসভাকে সরবরাহ করার কথা বলেছিল, তার দৈর্ঘ্য অন্তত পাঁচ ফুট। তা ছাড়া, ওই যন্ত্রের মাধ্যমে একসঙ্গে দু’টির বেশি ম্যানহোল বা নিকাশি নালা থেকে পলি তোলা যাবে না। ওই যন্ত্রগুলির এক-একটির ক্ষমতা ১৫ হর্সপাওয়ার। যা চালাতে খরচও অনেক বেশি হবে।

পুরসভা তাদের কারখানায় যে যন্ত্রটি তৈরি করছে, সেটি তিন ফুটের। ফলে, সঙ্কীর্ণ রাস্তাতেও তা দিয়ে পলি তোলার কাজ করা সম্ভব। তা ছাড়া, পুরসভার তৈরি এই যন্ত্র একই সঙ্গে দু’টির পরিবর্তে তিনটি ম্যানহোল থেকে পলি তুলতে পারে। আর ১৫ হর্সপাওয়ার নয়, ১০ হর্সপাওয়ারেই চলতে পারে এই যন্ত্র। তাই জ্বালানিও অনেক কম লাগবে। ফলে সামগ্রিক ভাবে পুরসভার নতুন যন্ত্রের কার্যকারিতাও অনেক বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।

KMC Coronavirus Lockdown Dredging Machine
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy