Advertisement
E-Paper

কোথায় বেআইনি নির্মাণ? খতিয়ে দেখতে সন্দীপের বাড়িতে পুরসভার দল, আগেই গিয়েছিল নোটিস

কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, বেলেঘাটার বদন রায় লেনে সন্দীপের যে চার তলা বাড়িটি রয়েছে, তার কিছু অংশ বেআইনি ভাবে নির্মিত বলে অভিযোগ উঠেছে। পুরসভার কাছে সেই মর্মে অভিযোগ জমা পড়ে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:০৯
(বাঁ দিকে) সন্দীপ ঘোষ এবং বেলেঘাটায় তাঁর চার তলা বাড়ি।

(বাঁ দিকে) সন্দীপ ঘোষ এবং বেলেঘাটায় তাঁর চার তলা বাড়ি। —ফাইল চিত্র।

আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে গেল কলকাতা পুরসভার একটি দল। বেলেঘাটায় সন্দীপের বাড়িটির একাংশ বেআইনি ভাবে নির্মিত বলে অভিযোগ ওঠে। পুরসভা সূত্রে খবর, সেই অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতেই সন্দীপের বাড়িতে অনুসন্ধানকারী দল পাঠানো হয়েছে। বাড়িটির একাংশ অবৈধ ভাবে নির্মিত কি না, নির্মিত হলে তার আয়তন কতটা, এই সব খতিয়ে দেখবেন পুরসভার আধিকারিকেরা। গত শুক্রবারই এই পুর অভিযানের বিষয়ে জানিয়ে নোটিস গিয়েছিল ধৃত সন্দীপের বাড়িতে।

কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, বেলেঘাটার বদন রায় লেনে সন্দীপের যে চার তলা বাড়িটি রয়েছে, তার কিছু অংশ বেআইনি ভাবে নির্মিত বলে অভিযোগ উঠেছে। পুরসভার কাছে সেই মর্মে অভিযোগ জমা পড়ে। তার পরেই তারা নড়েচড়ে বসে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর কলকাতা পুরসভার তরফে সন্দীপের বাড়িতে নোটিস পাঠানো হয়। তাতে বলা হয়, পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার জীবন দাস এবং কিরণ মণ্ডল ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে সন্দীপের বাড়িতে যাবেন। সেই মতোই সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ সন্দীপের বাড়িতে যান পুর আধিকারিকেরা। এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত তাঁরা সন্দীপের বাড়িতেই রয়েছেন।

আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর অধ্যক্ষ হিসাবে সন্দীপের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়ে। জুনিয়র ডাক্তারেরা সন্দীপের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, সন্দীপ অত্যন্ত প্রভাবশালী। ফলে তদন্ত প্রক্রিয়াকেও তিনি প্রভাবিত করতে পারেন। আন্দোলনের চাপে পড়ে তিনি পদত্যাগ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে।

প্রথমে ধর্ষণ-খুন এবং পরে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সন্দীপকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তাঁর বেলেঘাটার বাড়িতেও সিবিআইয়ের দল পৌঁছে গিয়েছিল। সন্দীপের বাড়িতে হানা দিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল সিবিআইয়ের আধিকারিকদের। অনেক পরে তিনি দরজা খুলেছিলেন। তার পর ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলেছে তল্লাশি। পরে দু’টি মামলাতেই সিবিআই সন্দীপকে গ্রেফতার করে। ধর্ষণ-খুনের মামলায় সিবিআইয়ের প্রথম গ্রেফতারি সন্দীপই। পরে ওই মামলায় টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও গ্রেফতার করা হয়।

Sandip Ghosh KMC Kolkata Municpal Corporation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy