Advertisement
E-Paper

সরোবরে দূষণ ঠেকাতে জরিমানা করার ভাবনা

কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, রবীন্দ্র সরোবরের মতো জাতীয় সরোবর পরিষ্কার রাখতে হলে পরিবেশে আদালতের নির্দেশিকা মানতেই হবে। অনেক ক্ষেত্রেই নিষেধাজ্ঞা না মানার অভিযোগ ওঠায় এ বার জরিমানার কথা ভাবা হয়েছে।

কৌশিক ঘোষ

শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৯ ০২:২৬
দূষণ: ভাসছে প্লাস্টিকের বোতল ও থার্মোকলের থালা। নিজস্ব চিত্র

দূষণ: ভাসছে প্লাস্টিকের বোতল ও থার্মোকলের থালা। নিজস্ব চিত্র

রবীন্দ্র সরোবরে মাছ অথবা হাঁসেদের খাবার দেওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা ছিল আগেই। জলাশয়ে প্লাস্টিক-সহ যে কোনও কঠিন ও তরল বর্জ্য ফেলার ক্ষেত্রেও কর্তৃপক্ষের বারণ রয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়িত করতে নিরাপত্তারক্ষীও মোতায়েন করেছেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। তাই নিষেধাজ্ঞা না মানার অভিযোগে কাউকে চিহ্নিত করতে পারলে তার কাছ থেকে জরিমানা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ।

কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, রবীন্দ্র সরোবরের মতো জাতীয় সরোবর পরিষ্কার রাখতে হলে পরিবেশে আদালতের নির্দেশিকা মানতেই হবে। অনেক ক্ষেত্রেই নিষেধাজ্ঞা না মানার অভিযোগ ওঠায় এ বার জরিমানার কথা ভাবা হয়েছে। কোন নিয়ম ভাঙলে কত করে জরিমানা নেওয়া হবে এবং কবে থেকে জরিমানা চালু হবে তা নিয়ে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কেএমডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবেশ আদালতের নির্দেশিকা অনুযায়ী সরোবরের জল কোনও ভাবেই দূষিত করা যাবে না। সরোবর চত্বরে প্লাস্টিক নিয়ে কেউ যেন প্রবেশ করতে না পারেন, তারও উল্লেখ রয়েছে নির্দেশিকায়। প্রার্তভ্রমণকারী থেকে শুরু করে পরিবেশকর্মীদের একাংশ বারবারই অভিযোগ করেছেন, সরোবরের মাছেদের অনেকেই খাওয়ান। প্রায়ই সরোবর থেকে হাঁস চুরিরও অভিযোগ উঠেছে।

পরিবেশকর্মীদের একাংশের দাবি, সরোবরের মাছেদের খাবার দেওয়ার নামে কী দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। অনেক সময়ে সেই খাবার থেকেও জলে দূষণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকতে পারে। কয়েক বছর আগে সরোবরে মাছের মড়ক হওয়ার পরেই টনক নড়েছিল প্রশাসনের। তার পর থেকেই মাছ এবং হাঁসেদের খাবার দেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন কর্তৃপক্ষ। গত বছরেই পরিবেশ আদালত জাতীয় সরোবরের সংরক্ষণে প্লাস্টিক বর্জন-সহ জলাশয় পরিষ্কার এবং সামগ্রিক পরিবেশের উন্নতি করতে কিছু নির্দেশিকা দিয়েছে।

রবীন্দ্র সরোবর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য হাইকোর্ট মনোনীত কমিটির সদস্যা সুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পরিবেশ আদালত যে সমস্ত বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তার বেশির ভাগই মানা হচ্ছে না। জরিমানা না করে প্রথমেই যদি নিরাপত্তারক্ষীরা প্লাস্টিক আটকান অথবা জলাশয়ে কিছু ফেলতে না দেন, তা হলেই অনেকটাই কাজ হয়। কে বা কারা সরোবর নোংরা করছেন তাঁদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে।’’

সরোবর কর্তৃপক্ষের দাবি, ইতিমধ্যেই প্লাস্টিক নিয়ে হকার প্রবেশ করার ক্ষেত্রে নিরাপত্তারক্ষীদের কঠোর হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি, যাঁরা ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করছেন তাঁরা প্লাস্টিক বা প্লাস্টিকজাত দ্রব্য আনছেন কি না, তা দেখার জন্য নিরাপত্তারক্ষীদের ব্যাগ তল্লাশি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রবীন্দ্র সরোবর যে ‘নো প্লাস্টিক জোন’ সেই নির্দেশিকা-সহ আদালতের যাবতীয় নির্দেশিকা সরোবরের বিভিন্ন গেটে টাঙানো রয়েছে। এমনকি, রাস্তা থেকে জলাশয়ে যাতে কেউ বর্জ্য ফেলতে না পারেন, সেই কারণে জাল দিয়ে ঘিরেও দেওয়া হয়েছে। তবে তাতে কাজ না হওয়ায় সরোবর কর্তৃপক্ষের শেষ অস্ত্র জরিমানা।

Pollution Rabindra Sarobar KMDA
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy