সহায়তা: শ্রমিকদের হাতে খাবার তুলে দিচ্ছেন বিমানবন্দরের কর্মীরা। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র
টানা দু’দিন লকডাউনের প্রথম দিন, বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরের টার্মিনালের সামনে অপেক্ষা করতে দেওয়া হয়নি তাঁদের। উড়ান ধরতে না-পারা পরিযায়ী শ্রমিকদের সেই দলটি আশ্রয় নিয়েছিল গাড়ি রাখার জায়গায়।
শুক্রবার তাঁদেরই ডেকে এনে দুপুরের খাবার খাওয়ালেন কলকাতা বিমানবন্দরের কর্তারা। বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘কোথায় যাবেন ওঁরা? সঙ্গে বেশি টাকাপয়সাও নেই। তাই শুক্রবার রাতে ওঁদের যাতে থাকতে অসুবিধা না-হয়, সেই কারণে টার্মিনালে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’
বিমানবন্দরের নিয়মকানুনের সঙ্গে সড়গড় না-হওয়ায় এই শ্রমিকদের অনেকেই উড়ান ধরতে পারছেন না। পরের উড়ান ধরা পর্যন্ত থেকে যাচ্ছেন টার্মিনালের সামনে। এতে দুশ্চিন্তা শুরু হয় কর্তৃপক্ষের অফিসারদের। এক অফিসারের কথায়, ‘‘কেউ ২৪ ঘণ্টা, কেউ ৪৮ ঘণ্টা শুয়ে-বসে কাটিয়ে দিচ্ছেন। ওই সময়ের মধ্যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর দায়িত্ব আমাদের উপরে এসে পড়ছিল। এমন ঘটনা আগে ঘটেছে।’’
বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের দলটি আটকে পড়লে তাঁদের শনিবার সকাল পর্যন্ত থাকতে দিতে হবে, এই ভেবে প্রথমে সরে যেতে বলা হয়। কিন্তু পরে ফিরিয়ে আনা হয় তাঁদের।
আন্দামানে যাওয়ার পথে বন্ধুদের সঙ্গে আটকে পড়া উত্তরপ্রদেশের বীরেন্দ্র কুমার জানান, ২৫ তারিখের টিকিট পেয়েছেন। বিমানবন্দর চত্বরেই এই ক’দিন কাটিয়ে দেবেন। তিরুঅনন্তপুরমের পথে আটকে পড়া ঝাড়খণ্ডের লক্ষ্মণ ঘোষ জানিয়েছেন, আজ, শনিবার সকালের মধ্যে টিকিট না-পেলে বাড়ি ফিরে যাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy