প্রতীকী ছবি। —ফাইল চিত্র
স্মার্ট কার্ড পাঞ্চ করে প্ল্যাটফর্মে উঠে ট্রেন ধরার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন যাত্রীরা। কিন্তু যাত্রী না তুলেই তাঁদের সামনে দিয়ে পরের স্টেশনের দিকে চলে গেল মেট্রো। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটেছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ফুলবাগান স্টেশনে। ট্রেন না থামায় যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। ক্ষুব্ধ যাত্রীরা স্টেশন সুপারের ঘরে অভিযোগও জানান।
মাসখানেক আগেও ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোর সল্টলেক স্টেডিয়াম এবং করুণাময়ী স্টেশনে না থেমে চলে গিয়েছিল ট্রেন। ওই ঘটনা নিয়ে তদন্তের পরে চালকদের আরও বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তার পরেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে এ দিন শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মেট্রো সূত্রের খবর, বেলা ১১টা নাগাদ ফুলবাগান স্টেশনে প্রায় জনা চল্লিশেক যাত্রী সেক্টর ফাইভগামী মেট্রো ধরার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময়ে একটি মেট্রো স্টেশনে এসে কিছু ক্ষণের জন্য দাঁড়ালেও প্ল্যাটফর্মের স্ক্রিন ডোর খোলেনি। ফলে খোলেনি ট্রেনের দরজাও। অল্পক্ষণ পরেই ট্রেনটি পরের স্টেশন সল্টলেক স্টেডিয়ামের দিকে রওনা হয়ে যায়। ঘটনা দেখে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান যাত্রীরা। পরে স্টেশন সুপারের ঘরে গিয়ে অভিযোগ জানান।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোরের মাপ ট্রেনের কামরার দরজার থেকে দু’পাশে ৬ ইঞ্চি করে মোট এক ফুট বেশি। ফলে, ওই পরিসরের মধ্যেই ট্রেন থামতে হবে। কিন্তু কোনও ট্রেন নির্দিষ্ট জায়গায় না থামলে প্ল্যাটফর্মের কাচের দরজা কোনও অবস্থাতেই খুলবে না। এই পরিপ্রেক্ষিতেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি এ দিন চালক জায়গা মতো ট্রেন থামানোর ক্ষেত্রে ভুল করেছিলেন?
নতুন এই মেট্রোয় চালকেরা যাতে নির্দিষ্ট জায়গায় ট্রেন থামাতে পারেন তা নিশ্চিত করতে কয়েক দফায় তাঁদের দীর্ঘ অনুশীলন হয়েছে। বস্তুত, অনুশীলনের সময় দিতে মেট্রোর উদ্বোধন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও কেন এমন পরিস্থিতি বার বার ঘটছে, সেই প্রশ্ন উঠছে। এ প্রসঙ্গে এক মেট্রোকর্তা বলেন, ‘‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। কোন পরিস্থিতিতে, কী ভাবে এমন ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
অন্য দিকে, পয়েন্টের গোলমালে মঙ্গলবার রাতে মেট্রো চলাচল ব্যাহত হয় নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর মেট্রো পথে। রাত ৯টা ৪৮ মিনিট নাগাদ দক্ষিণেশ্বরমুখী লাইনে ওই গোলমাল ধরা পড়ে। রাত ১০টা ১২ মিনিট নাগাদ সমস্যা মেটে। মিনিট কুড়ি মেট্রো চলাচল ব্যাহত হয়। দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বরমুখী এবং ফিরতি পথে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষমুখী একাধিক ট্রেন আটকে পড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy