Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
KMC Health

শিশুদের বিরল রোগের সন্ধান পেতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেবে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ

গোটা বিশ্বে এই ধরনের বিরল রোগের সংখ্যা প্রায় সাত হাজার। ভারতে এখনও পর্যন্ত সেই বিরল রোগের সংখ্যা প্রায় ৪৩০। কলকাতা শহর থেকে এই বিরল রোগের সন্ধান পেতে উদ্যোগ শুরু করছে কলকাতা পুরসভার।

Kolkata municipal Corporation will go door to door to find rare diseases in children

শনিবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণার সাংবাদিক বৈঠকে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ ও অন্যান্য। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৩২
Share: Save:

পৃথিবীতে দিন দিন বেড়েই চলেছে বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা। গোটা বিশ্বে এই ধরনের বিরল রোগের সংখ্যা প্রায় সাত হাজার। ভারতে এখনও পর্যন্ত সেই বিরল রোগের সংখ্যা প্রায় ৪৩০। কলকাতা শহর থেকে এই বিরল রোগের সন্ধান পেতে উদ্যোগ শুরু করছে কলকাতা পুরসভার। শনিবার কলকাতা পুরসভায় এক সাংবাদিক বৈঠকে এই বিষয়ে উদ্যোগ শুরু করার কথা ঘোষণা করেছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।

অতীন বলেছেন, ‘‘শিশু বিরল রোগে আক্রান্ত হলে অনেক সময় অভিভাবকরা বুঝতে পারেন না। কিন্তু বাচ্চা যখন বড় হয়, তখন বোঝা যায়, সে বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছে। রোগ আগে ধরা পড়লে অনেক সময় তার চিকিৎসা আগে থেকেই করা সম্ভব হয়। তাই কলকাতায় এ বার আমরা এই বিরল রোগের খোঁজ করতে আশা কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পাঠাব। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করেই আমরা বিরল রোগের সন্ধান করতে পারব।’’

কলকাতা পুরসভার তরফে আপাতত ১০টি ওয়ার্ডে প্রাথমিক ভাবে পাইলট প্রোজেক্ট চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি মেয়র। ধীরে ধীরে এই প্রক্রিয়া শহরের ১৪৪টি ওয়ার্ডেই চালু করা হবে বলে জানানো হয়েছে। কলকাতা পুরসভার তরফে চিকিৎসক শুভব্রত কাঞ্জিকে এই উদ্যোগের নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হবে। ডুশিন মাসকুলার ডিসট্রফি, প্রেডার উইলি সিন্ড্রোম ইত্যাদি বিরল রোগের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাওয়াতে এই নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেই পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর।

বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুর খোঁজ মিললে চিকিৎসা শুরু করা যাবে দ্রুত। এই উদ্দেশ্যে পিজি হাসপাতালে জেনেটিক টেস্টিং শুরু হয়েছে। কিন্তু এই টেস্টিংয়ের জন‌্য একত্রে ১২ জন শিশুর প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে এক জন অভিভাবক একা এলে তাকে দীর্ঘ দিন অপেক্ষা করতে হয়। বিরল রোগে আক্রান্ত কারা, পুরসভার হাতে সে তালিকা থাকলে তাদের একত্রে এসএসকেএমে পাঠানো সম্ভব। সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন অর্গানাইজ়েশন ফর রেয়ার ডিজ়িজ় ইন্ডিয়ার কলকাতার কোঅর্ডিনেটর দীপাঞ্জনা দত্ত, ইন্ডিয়ান প্রেডার উইলি সিন্ড্রোম অ‌্যাসোসিয়েশনের শিখা মেথারামানি ও যুব তৃণমূল নেত্রী প্রিয়দর্শিনী ঘোষ বাওয়া। তাঁরা বিরল রোগ প্রসঙ্গে জনসেচতনা বৃদ্ধি করার ওপর জোর দিয়েছেন। এই রোগ দ্রুত শনাক্ত করা গেলে আক্রান্ত শিশুর আগামী জীবনের পথ চলা অনেক বেশি সহজ হবে বলেই মত প্রকাশ করেছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

KMC Kolkata Municpal Corporation Health Department
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE