সরকারি অনুমোদনকে হাতিয়ার করেই ভাগাড় থেকে মৃত পশুর মাংস পাচার করা হত বলে দাবি করছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন পুরসভার কাছ থেকে মৃত পশুর সৎকারের অনুমোদনপত্র নেওয়া হত। তার পরে সেই পশুর মাংস কেটে নিয়ে তুলে দেওয়া হত পাচারকারীদের হাতে।
ভাগাড়-কাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন কাউন্সিলর মানিক মুখোপাধ্যায়কে জেরা করেই জানা গিয়েছে এই তথ্য। মানিক পুরসভার থেকে মৃত পশু সৎকারের অনুমোদনপত্র পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। শরাফত হোসেন নামে আরও এক জন ধরা পড়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, শরাফত একাধিক পুরসভার থেকে মৃত পশু সৎকারের অনুমোদন নিয়ে রেখেছিল। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, তপসিয়া এলাকার বাসিন্দা খান সাহেব নামে এক ব্যক্তির থেকে ২০০৩ সালে নারকেলডাঙা থানা এলাকার একটি হিমঘরের দু’টি গুদাম ভাড়া নিয়েছিল ধৃত বিশ্বনাথ ঘড়ুই ওরফে বিশু। তার পরেই ধীরে ধীরে ভাগাড়ের মাংস সংগ্রহের পাচার-চক্র গড়ে উঠে।
তদন্তকারীদের কথায়, ‘‘কলকাতার নিউ মার্কেট এলাকাই পাচার-চক্রের মধুভাণ্ডার। নারকেলডাঙার হিমঘরে মজুত রাখা মাংসের অধিকাংশই নিউ মার্কেট এলাকার বিভিন্ন মাংস ব্যবসায়ীর কাছে পৌঁছে যেত।’’ তদন্তকারীদের দাবি, বাছুর কেটে খাসির মাংস বলে পাচার করা হয়েছে। মূলত বিরিয়ানিতে ওই মাংস ব্যবহৃত হত। উত্তর কলকাতার বিভিন্ন হোটেলেও তল্লাশি চালানো হয়। হিমঘর থেকে আসা মাংস হোটেল মালিকেরাও কিনতেন বলে দাবি তদন্তকারীদের।
ভাগাড়-কাণ্ড নিয়ে সরব কংগ্রেসও। শনিবার কলকাতা পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁরা যাতে পুর ভবনে না ঢোকেন, এ জন্য মূল প্রবেশদ্বার ছাড়া সব দ্বার বন্ধ রাখা হয়।