Advertisement
E-Paper

ভাগাড়-তদন্তে কি এ বার সিআইডি

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৮ ০২:৩৮
সরেজমিন: দমদমের এক রেস্তরাঁয় মাংসের নমুনা পরীক্ষা করছেন পুর কর্তারা। মঙ্গলবার। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

সরেজমিন: দমদমের এক রেস্তরাঁয় মাংসের নমুনা পরীক্ষা করছেন পুর কর্তারা। মঙ্গলবার। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

ভাগাড়-কাণ্ডের তদন্ত এ বার হাতে নিতে পারে সিআইডি। মঙ্গলবার এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন পুলিশের কর্তারা।

এ দিকে, পচা মাংসের কারবারি বিশ্বনাথ ঘড়ুই ওরফে বিশুকে ফের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। মঙ্গলবার আলিপুর আদালতের অতিরিক্ত বিচারবিভাগীয় বিচারক (বেঙ্গল) সম্রাট রায়ের এজলাসে বিশুকে তোলা হয়। তদন্তকারীরা জানান, বিশুকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। সে অন্যান্য রাজ্য এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রেও ভাগাড়ের মাংস পাচার করত বলে জানা গিয়েছে। বিশুকে নিয়ে তল্লাশি অভিযান চালানোরও পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিচারক বিশুকে আরও আট দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তকারীরা জানান, ভাগাড়ের মাংস বিক্রির ক্ষেত্রে বিশুর সঙ্গে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির যোগসাজশ ছিল। তাঁদেরও খোঁজ চলছে। বিশুর দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় এক কোটি টাকা মিলেছে। তবে তার ব্যবসায়িক লেনদেন বা হিসেবের নথি মেলেনি। তাই ফের বিশুর গড়িয়া ও মধ্যমগ্রামের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হবে। বছরে কয়েক কোটি টাকার ব্যবসায়িক লেনদেন করত বিশু। সেই জন্য এক জন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টও রেখেছিল সে।

ভাগা়ড়-কাণ্ডে মহম্মদ এখলাক নামে এক পরিবহণ ব্যবসায়ীকে জেরা করেই বহু তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি পুলিশের। ওই ব্যবসায়ীর ফ্রিজার গাড়িতেই কলকাতার বেশ কিছু ব্যবসায়ীর কাছে ভাগা়ড়ের মাংস পাঠানো হত। ওই ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘তল্লাশি চালাতে গিয়ে নানা ভাবে বাধা পাচ্ছি। বিশুর বহু পরিচিত প্রভাবশালী এখন গোপন ডেরা থেকে তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।’’

ভাগাড় Meat Dumping Zone
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy